Writing

শিক্ষিত / চাকরিজীবী দম্পতির ডিভোর্সের হার বেশি কেনো

(এই লেখাতে ফ্যাক্ট নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করবো। সঠিক-বেঠিক, উচিত-অনুচিত নিয়ে কথা বলবো না।)
একটি বৈবাহিক সম্পর্ক সুন্দরভাবে চলার জন্য দুই পক্ষকে অনেক ছাড় দিতে হয়। ছাড় দেয়ার মধ্যেও উভয় পক্ষকে ব্যালেন্স করতে হয়। স্বামীকে যেমন ছাড় দিতে হয়, স্ত্রীকেও ছাড় দিতে হয়৷

আপনি আপনার মা-বাবা অথবা দাদা-দাদীর সম্পর্কটা একটু দেখুন৷ তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, অর্থোপার্জন ক্ষমতা সমান না, এমনকি বয়সও সমান না।
মা এইট পাশ হলে বাবা হয়তো অনার্স/বি.এ পাস ছিলেন। মা-বাবার বয়সের পার্থক্য পাঁচ থেকে দশ-বারো বছর তো হবেই। বিয়ের পর বাবা হয়তো ব্যবসা করেন, চাকরি করেন আর মা গৃহিণী।

এসব ক্ষেত্রে বিয়ের আগে একজন স্ত্রীর মাইন্ডসেট পুরোপুরি পরিষ্কার থাকে বিয়ের পর তাকে কী করতে হবে। সংসার সামলাতে হবে, তারপর সুযোগ পেলে হাঁস-মুরগি পালন, সেলাই করা, ফলমূল-সবজি বিক্রি করে স্ত্রী হাতখরচ বাবদ কিছু টাকা জমায়। মাঝেমধ্যে স্বামীর কাছ থেকে টাকা নেয়। স্বামীর সাথে কখনো বাকবিতণ্ডা হলে আচার-আচরণ নিয়ে হয়, ছোটোখাটো চাহিদা নিয়ে হয়।

মোটাদাগে, আমাদের ঠিক পূর্বের জেনারশনের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে খণ্ডচিত্র এমন। অন্তত আমার আশেপাশে আমি এমন দেখেছি।
শিক্ষিত দম্পতির বিয়েতে পূর্বের অনেকগুলো উপাদান অনুপস্থিত থাকে। যেমন:

১. তাদের বয়সের পার্থক্য কম থাকে। সর্বোচ্চ পাঁচবছর। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সমবয়সী বা এক-দুই বছরের পার্থক্য থাকে।
২. তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রায় সমান থাকে। স্বামী-স্ত্রী দুজনই অনার্স-মাস্টার্স পাশ। অথবা স্বামী মাস্টার্স পাশ, স্ত্রী অনার্স পড়ুয়া।
৩. দুজনের উপার্জন বা উপার্জন সম্ভাবনাও সমান থাকে। দুজন চাকরিজীবী হলে দুজনের বেতন প্রায় সমান থাকে। অথবা স্বামী চাকরিজীবী, স্ত্রী আরো দুই-এক বছর পর চাকরিতে জয়েনের সম্ভাবনা থাকে।

সমস্যাটা বাধে কোথায়?

একজন পুরুষ বাই নেচার একজন অনুগত স্ত্রী চায়। বাইরের সমাজে সে যতোই নারীর অধিকার নিয়ে কথা বলুক না কেনো, বাস্তব জীবনে সে চায় তার স্ত্রী তার আনুগত্য স্বীকার করুক।

Laura Doyle নামের একজন এক্স-ফেমিনিস্ট তার জীবনে নানা ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করেছেন। তার অনেকগুলো বিয়ে হয়, কিন্তু কোনো বিয়ে ঠিকেনি। তিনি চিন্তা করেন, নিশ্চয়ই কোনো একটা সমস্যা আছে।

সর্বশেষ বিয়ে করেন জন নামের একজনকে। এই বিয়েকে ঠিকভাবে ধরে রাখার জন্য নিজেকে বদলে ফেলেন। একজন ফেমিনিস্ট থেকে তিনি হয়ে যান একেবারে অনুগত স্ত্রী। স্বামীকে অথোরিটি এক্সারসাইজের সুযোগ দেন, যেটা আগের স্বামীদেরকে দিতেন না।

তিনি বেশ অবাক হয়ে লক্ষ্য করেন, তাদের সম্পর্ক ঠিকমতো চলছে। স্বামীও ঠিক, তিনিও ঠিক। প্রথমদিকে তিনি এক্সপেরিমেন্ট করার জন্য এমন করেন, পরবর্তীতে মন থেকে মেনে নেন। শুধু নিজে মেনে নিয়ে ক্ষান্ত হননি, বাকিদেরকেও উৎসাহিত করেন। তার ফেমিনিস্ট মানসিকতা একেবারে ঝেড়ে ফেলে এমন একটি বই লিখেন, যা ফেমিনিস্টদের জন্য গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়। নিজের অভিজ্ঞতার পাশাপাশি একাডেমিক রিসার্চ শেয়ার করে তিনি জানিয়ে দেন, পাশ্চাত্যের সমাজ যতোই নারী অধিকার নিয়ে কথা বলুক না কেনো, ফেমিনিজমকে যতোই উৎসাহিত করুক না কেনো, স্ত্রী হিশেবে তারা একজন অনুগত স্ত্রীই চায়।

‘The Surrendered Wife’ বইটিতে সেই নারী পাশ্চাত্যের দাম্পত্য জীবনের বাস্তবতা তুলে ধরেন। একজন স্ত্রীকে কেনো অনুগত স্ত্রী হতে হবে, সুখী সংসারের জন্য স্বামীর আনুগত্য কেনো প্রয়োজন সেটা তার দাম্পত্য অভিজ্ঞতার আলোকে দুশো পৃষ্ঠার বইয়ে প্রমাণ করেন। বইটি দীর্ঘদিন ধরে আমাজনের বেস্টসেলার বই ছিলো।

ইমারসন এগেরিক তার ত্রিশ বছরের দাম্পত্য অভিজ্ঞতা ও একজন কাউন্সিলর (পরামর্শদাতা) হিশেবে অনেক মানুষের নিজেদের অভিজ্ঞতার আলোকে একটি বই লিখেন। ‘Love & Respect’ বইতে তিনি তুলে ধরেন একজন স্বামী স্ত্রীর কাছ থেকে কী চায় এবং একজন স্ত্রী স্বামীর কাছ থেকে কী চায়।

তিনি দেখান, একজন স্বামী স্ত্রীর কাছ থেকে সম্মান, আনুগত্য প্রত্যাশা করে অন্যদিকে একজন স্ত্রী স্বামীর কাছ থেকে ভালোবাসা ও ইমোশনাল সাপোর্ট প্রত্যাশা করে।

এই দুটো বইয়ের কথা এজন্য উল্লেখ করলাম, যাতে অমুসলিম সমাজে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের চাওয়া-পাওয়া কী আছে সেটা বুঝানোর জন্য। স্বামীরা যে আনুগত্য প্রত্যাশী, সেটা যেমন প্রাচ্য বা পাশ্চাত্য উভয় সমাজে দেখা যায়, তেমনি মহান আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও এই বিষয়ের কথা উল্লেখ করেছেন। কুরআন ও সুন্নাহয় স্ত্রীকে বলা হয়েছে স্বামীর আনুগত্য করতে।

শিক্ষিত/চাকরিজীবী দম্পতির বিয়ের সম্পর্কগুলো ভেঙ্গে যাবার পেছনে আমার কাছে অন্যতম কারণ মনে হচ্ছে মূলত তিনটি।

  • আনুগত্যের অভাব
  • ছাড় দেবার মানসিকতা কমে যাওয়া
  • প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা।

সমান ইনকাম, সমান বয়স, সমান শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন স্ত্রীর কাছ থেকে আপনি সেই আনুগত্য প্রত্যাশা করতে পারেন না, যে আনুগত্য আপনার বাপ-দাদা পেয়েছেন।
আপনার বাবা অথবা দাদা তাদের স্ত্রীকে ধমক দিলে, গালাগালি করলে তারা লুকিয়ে কেঁদেছেন। কিন্তু, স্বামীর মুখেমুখে কথা বলার সাহস দেখাননি। কদাচিৎ হয়তো কান্না করতে করতে মুখের উপর কথা বলতেন; তাও সেটা বারো মাসে একদিন।

তারা স্বামীকে আক্ষরিক অর্থেই স্বামী মনে করতেন।
আক্ষরিক অর্থে স্বামীকে ‘স্বামী’ মনে করা মানে কী?
স্বামী শব্দের আক্ষরিক অর্থ হলো- প্রভু, মালিক।
কবি গোলাম মোস্তফার সূরা ফাতিহার অনুবাদ পড়লে দেখবেন, তিনি লিখেন:
“অনন্ত অসীম প্রেমময় তুমি
বিচার দিনের স্বামী”

এখানে তিনি আল্লাহকে ‘স্বামী’ বলে উল্লেখ করেন, যা স্বামী শব্দের আক্ষরিক অর্থের সাথে মিলে যায়। যার মানে হলো- প্রভু।

আপনার মা-দাদীর জেনারেশন এবং তার পূর্বের জেনারেশনের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক এমনই ছিলো।

কিন্তু, আপনি যখন আপনার স্ত্রীকে কোনো নির্দেশ দেন বা কোনো কিছুতে নিষেধ করেন, আপনার স্ত্রী আপনার মা-দাদীর মতো আনুগত্য দেখাবে না। ‘আদর্শ স্ত্রী‘ হিসেবে কল্পনায় যদি নিজের মা-দাদীকে রাখেন, তারপর স্ত্রীর কাছ থেকে এমন অবাধ্যতা দেখতে পান, তখন আপনার মনে পড়তে পারে স্ট্যাটিস্টিক্সের স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশনের (আদর্শ বিচ্যুতি) কথা।

আপনাকে তখন হিশেব করতে হবে, স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশন কতোটা সহ্য করবেন? কতোক্ষণ সহ্য করবেন না?

দ্বিতীয়ত, একজন গ্রামের মেয়ে, কম শিক্ষিত, উপার্জনও করে না, স্বামীর চেয়ে বয়সেও অনেক কম, সে যেমন ছাড় দেবার মানসিকতা রাখবে, একজন উচ্চশিক্ষিত স্ত্রী সমান ছাড় দেবার মানসিকতা রাখবে না। কারণ, আপনার মা-দাদীর কাছে অপশন ছিলো না। আপনার বাবা-দাদা তাদেরকে ডিভোর্স দিলে, তাদেরকে বাপের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিতে হতো। আরেকটা বিয়ে হতো কিনা সেটা নিয়ে সন্দেহ থাকতো। ফলে, অনাদর, অসম্মানে তাদেরকে বাকি জীবন ভাইয়ের সংসার, ভাইপোর সংসারে কাটাতে হতো।
এসবের চাইতে স্বামীর যুলুম, অনীহা, অনাদর সহ্য করা তাদের কাছে শ্রেয় মনে হতো।

কিন্তু দেখুন, একজন শিক্ষিত মেয়ে এই চিন্তা করবে না। তার হাতে অপশনের অভাব নেই। সে চাকরি করে আজীবন ডিভোর্সি হয়েই কাটাতে পারবে। অন্যের ওপর তার ভরসা করা লাগবে না; সে এমনটাই চিন্তা করে। বারবার যদি দেখে স্বামীর সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হচ্ছে, স্বামীর নিজের ক্ষেত্রে ছাড় দিচ্ছে না শুধু স্ত্রীকে ছাড় দিতে বলছে, তখন সে স্বামীর আচরণকে ‘ডমিনেট’ হিশেবে ভাববে।

একজন শিক্ষিত, উপার্জনক্ষম নারী খুব সহজে নিজের ওপর ডমিনেট সহ্য করবে না।

আপনি যদি আপনার বাপ-দাদার মতো স্ত্রীর সাথে ব্যবহার করতে চান, তাহলে সবচেয়ে বড়ো ভুল করেছেন তাদের স্ট্যান্ডার্ডের সাথে মিলিয়ে বিয়ে না করে নিজের স্ট্যান্ডার্ডে বিয়ে করে। কারণ, আপনার মা-দাদীর মতো ছাড় আপনার স্ত্রী দিবে না। এটা আশাই করতে পারেন না।

তৃতীয়ত, দুজন শিক্ষিত দম্পতির বা দুজন চাকরিজীবী দম্পতির যখন বিয়ে হয়, তখন বিয়ের আগে সাধারণত চাকরি করতে পারবে কি-না পড়ালেখা শেষ করতে পারবে কি-না এগুলো নিয়ে স্পষ্ট কথা হয়। স্পষ্ট কথা না হলেও ধরে নেয়া হয় স্বামী বা স্বামীর পরিবার আপত্তি করবে না।

কিন্তু, বিয়ের কিছুদিন পর দেখা যায় স্বামী স্ত্রীর চাকরি করাকে বা পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়াকে বাঁকা চোখে দেখা শুরু করে। নানানভাবে আপত্তি জানায়। কিছুদিন পর হয়তো স্বামীর পরিবারও আপত্তি তুলে- তারা তাদের বউমাকে ভার্সিটিতে পাঠাবে না, চাকরি করতে দিবে না।

তর্ক-বিতর্ক দিনদিন জটিল আকার ধারণ করে। একপর্যায়ে স্ত্রীকে এমন কথা শুনানো হয়, “হয় তুমি আমাকে বেছে নাও, নতুবা চাকরি।

স্ত্রী তখন পুরো ব্যাপারটি প্রতারণা, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ হিশেবে দেখে। সে বলে, “বিয়ের আগে এটা নিয়ে তুমি আপত্তি করোনি। আমাকে জেনেশুনেই বিয়ে করেছো। আমার আম্মা-আব্বা বারবার তোমার কাছে, তোমার পরিবারের কাছে জানতে চেয়েছে। তাদেরকেও কথা দিয়েছো। এখন তুমি কথা রাখছো না কেনো?

স্বামী তখন নানান অজুহাত দেখায়, আগের সিচুয়েশন আর এখনকার সিচুয়েশন এক না ইত্যাদি।

মেয়েটি তার পরিবারের সাথে কথা বলে। মেয়ের মা-বাবাও খুব অবাক হন। তারা মেয়েকে পড়িয়েছেন মেয়ে চাকরি পাবে, প্রতিষ্ঠিত হবে এই আশায়। যখন দেখেন, তাদের এতো টেলেন্টেড মেয়েকে গৃহিণী হবার প্রস্তাব দেয়া হচ্ছে, চাকরি ছেড়ে দেবার প্ররোচনা দেয়া হচ্ছে, তখন তারা মেনে নিতে পারেন না। মেয়েও পারে না, মেয়ের মা-বাবাও পারেন না।

তখন সম্পর্কগুলো আপনা-আপনি ডিভোর্সের দিকে গড়ায়।

২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘হঠাৎ দেখা’ কবিতার থিমের ওপর নির্মিত ‘প্রাক্তন’ মুভিতেও এই বিষয়টি দেখানো হয়েছে। শিক্ষিত, চাকরিজীবী প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার প্রেমের সম্পর্ক বিয়েতে কনভার্ট হবার পর কেনো ঠিকেনি?
পরবর্তীতে কেনো অপরাজিতা আঢ্যের সাথে প্রসেনজিৎ এর বিয়ের সম্পর্ক টিকে যায়?

সামাজিক সংকটের সূক্ষ্ম একটি জবাব দেয়া হয়েছে প্রাক্তনে। লরা ডয়েলের ‘The Surrendered Wife’ আর প্রাক্তনের ম্যাসেজ একই বলা যায়।

লেখাটির শুরুতেই বলেছিলাম, উচিত-অনুচিত, উত্তম-অনুত্তম সমাধান নিয়ে কথা বলবো না। বিয়ে সংক্রান্ত ব্যাপারগুলোতে ইন-জেনারেল সমাধান, প্রস্তাবনা কিছু ক্ষেত্রে কাজ করলেও অনেক ক্ষেত্রে কাজ করে না।

আমার পরিচিত এমন অনেক পরিবার দেখেছি, যাদের সবাই উচ্চশিক্ষিত। কিন্তু, ছেলেকে বিয়ে দেয়া হয়েছে এস.এস.সি ফেইল পাত্রীর সাথে। কম শিক্ষিত পাত্রী এমন উচ্চশিক্ষিত পরিবারের বউ হয়ে ইনফিরিওরিটি ক্রাইসিসে ভুগতো। শ্বশুরবাড়ির পরিবার, স্বামীর আত্মীয়ের কথা শুনে সে কষ্ট পেতো। সেই বিয়ে ওয়ার্ক আউট করেনি।
ঐ পরিবারের জন্য অর্ধশিক্ষিত পাত্রী মানায় না। আবার, অনেক পরিবারের জন্য শিক্ষিত পাত্রী মানায় না।

এজন্য এসব ব্যাপারে, ইন-জেনারেল কনক্লুশনে পৌঁছানো আমার জন্য সম্ভব না৷

বিয়ে রান করা না করা বলাটা বেশ জটিল। অনেক বড়ো ঘটনা ঘটার ফলেও কোনো দম্পতি হাসিমুখে সেটা মেনে নিয়ে সুখে-শান্তিতে বাকি জীবন কাটাতে পারে, অনেক তুচ্ছ ঘটনার কারণে কোনো কোনো দম্পতির বিচ্ছেদ হয়।

প্রত্যেকের জীবন তার নিজের কাছে ইউনিক। বাইরে থেকে দেয়া সাজেশন কারো দাম্পত্য জীবনে কাজে লাগতে পারে, কারোর ক্ষেত্রে পারে না।

সাহাবীদের জীবনী পড়লে দেখা যায়, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ ছিলেন তারা, দুনিয়াতে থাকাবস্থায় জান্নাতের সুসংবাদ পান, মানুষের হকের ব্যাপারে পূর্ণ সচেতন ছিলেন।
পৃথিবীতে থাকাবস্থায় জান্নাতের সুসংবাদ পাওয়া সত্ত্বেও আবু বকর, উমর, জুবাইর ইবনে আউয়াম রাদিয়াল্লাহু আনহুম তাঁদের স্ত্রীদের তালাক দিয়েছেন। তাঁদের স্ত্রীরা যেনতেন কেউ ছিলেন না, তারাও ছিলেন নারী সাহাবী। কুরআনে নাম আছে একমাত্র সাহাবী যায়িদ ইবনে হারিসা রাদিয়াল্লাহু আনহু। এতো মর্যাদাপ্রাপ্ত সাহাবীও তাঁর স্ত্রীকে তালাক দেন।

সামাজিকভাবে ডিভোর্সের হার বেড়ে যাওয়াটা আশংকাজনক। অন্যদিকে কোনো কোনো দম্পতির জান্য ডিভোর্সই একমাত্র সমাধান।

আমরা বাইরে থেকে দেখি সামাজিক পরিসংখ্যান। অথচ যারা সংসার করছে, যারা হাঁপিয়ে উঠছে, যাদের একজন আরেকজনের সাথে শত্রুতার সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, তারা হয়তো হাঁফ ছেড়ে বাঁচতে চাচ্ছে।

(দুপুরে খাবার পর লিখতে বসেছিলাম। স্ত্রী ফেসবুক স্ক্রল করতে করতে পোস্ট বা নিউজ দেখলো- শিক্ষিতদের মধ্যে ডিভোর্সের হার বেড়ে যাচ্ছে।
আমাকে জিজ্ঞেস করলো, কারণ কী হতে পারে?
এই বিষয়ে আমার মতামত কী?
তাকে ৫ মিনিটে গুছিয়ে যে কথাগুলো বললাম, সেগুলো লিখতে লাগলো দেড় ঘন্টা!)

লিখেছেন

Picture of আরিফুল ইসলাম (আরিফ)

আরিফুল ইসলাম (আরিফ)

পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার কলম তাকে উজ্জীবিত করেছে স্বীয় বিশ্বাসের প্রাণশক্তি থেকে।
অনলাইন এক্টিভিস্ট, ভালোবাসেন সত্য উন্মোচন করতে এবং উন্মোচিত সত্যকে মানুষের কাছে তুলে ধরতে।

লেখকের অন্যান্য সকল পোষ্ট পেতে ঘুরে আসুন

পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার কলম তাকে উজ্জীবিত করেছে স্বীয় বিশ্বাসের প্রাণশক্তি থেকে।
অনলাইন এক্টিভিস্ট, ভালোবাসেন সত্য উন্মোচন করতে এবং উন্মোচিত সত্যকে মানুষের কাছে তুলে ধরতে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Islami Lecture