পাশের বাড়ি বিয়ে

পাশের বাড়ি বিয়ে। নোংরা আর অশ্লীল ভাষায় গান চলছে। যা এসে কান ঝালাপালা করে দিচ্ছে।
কয়েকবার গিয়ে বলেও আসছি। গেলে সাউন্ড কমায় আর বলে, ভাই আজকের দিনটাই ভাই। বুঝতে পারছি আপনাদের ব্যাপারটা। আমি এসব শুনে আর এদের বিয়ের কর্মকান্ড দেখে ভাবতেছি। বিয়ের পরে এদের সংসারে কিছুদিন পরেই অভাব অনটন দেখা দেয়।
অথছ আল্লাহ তায়ালা বলছেন,

আর তোমরা তোমাদের মধ্যকার অবিবাহিত নারী-পুরুষ ও সৎকর্মশীল দাস দাসীদের বিবাহ দাও। তারা অভাবী হলে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময় ও মহাজ্ঞানী।
সুরা নুর-আয়াত ৩২

নিজেকে হিফাজত এর জন্য বিয়ে করলে আল্লাহ তায়ালা অভাব মুক্ত করে দিবেন।
কিন্তু এদের অভাব আরো বেশি শুরু হয়। কারণ ঐ একটাই হারামে কখোনো বরকত হয় না।
যেখানে মাহারাম, গাইরে মাহারাম, গান বাজনা ভরপুর সেখানে বরকত আশা করা বড্ড বোকামি।
বেশির ভাগ বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী গুলা সুখী হতে পারে না, ঝগড়া, মান-অভিমান লেগেই থাকে।
কারণ তাদের জীবনের প্রথম পর্যায়টাই শুরু হয় হারাম আর অশ্লীলতার মধ্য দিয়ে।

মোহরানা তো পুরোপুরি আদায় হয়ই না, বরং আরো মেয়ের বাবাকে এক কাড়ি টাকা গুনতে হয় ছেলেকে কিনার জন্য মানে যৌতুক এর জন্য। গায়ে হলুদ থেকে শুরু করে, কনেকে তুলে দেওয়া পর্যন্ত চলে অশ্রীলতা আর বেহায়াপানা। থাকে না শরীয়ত এর কোন হুকুম আহকাম, থাকে না পর্দার কোন বালাই। পাশের বাড়ির গান এর শব্দে আমার কুরআন এর এই আয়াতটা খুব মনে পড়তেছে।

নিশ্চয় যারা এটা পছন্দ করে যে, মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ুক, তাদের জন্য দুনিয়া ও আখেরাতে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আযাব। আর আল্লাহ জানেন এবং তোমরা জান না।
সুরা নূর-আয়াত ১৯

যদিও আয়াতটা অন্য বিষয়ে নাজিল হয়েছে ।
কিন্তু, কেন জানি আয়াত পাশের বাড়ির গানের আওয়াজ এর সাথে আমার মনটা বার বার সায় দিচ্ছে। একটু খেয়াল করবেন…..

যে বিয়েতে খরচ বেশি হয় ডাক-ডোল আর পর্দাহীনতার বালাই থাকে না, সেই সংসার গুলোতে ফাটল ধরে বেশি। স্বামী-স্ত্রীর মাঝে মতের মিল হয় না। কিছুদিন পর পর ঝগড়া লেগেই থাকে। ছেলে মেয়ে গুলাও কেমন জানি বেয়াদব আর অসভ্য হয়। দেখতেছেন না আপনার আশেপাশে!

একটু চোখ তুলে তাকান উদাহরণ আপনার আশেপাশেই পেয়ে যাবেন। তাই জীবনটাকে রাসুল সা. এর সুন্নায় উদভাসিত করুন। সেটা বিয়ের মাধ্যমেই হোক। অনন্ত আপনার থেকেই শুরু হোক বিয়ের সুন্নাহগুলো।

পাশের বাড়ির বিয়ে আমার কিছু কথা ।

আমিরুল ইসলাম

লেখাটি সংগৃহীত

Exit mobile version