কবরবাসীর জন্য ইফতারের আগে দু‘আ করুন

যাদের আপনজন কবরবাসী হয়ে আছে, তাদের উচিত ইফতারের আগে তাদের জন্য আল্লাহর কাছে মাগফিরাতের দু‘আ করা।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
‘‘আল্লাহ প্রতি ইফতারে অনেককে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। আর এটি প্রতি রাতেই হয়ে থাকে।’’
[ইমাম আহমাদ, আল-মুসনাদ: ২১৬৯৮; ইমাম ইবনু মাজাহ, আস-সুনান: ১৬৪৩; হাদিসটি হাসান সহিহ]

নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
‘‘তিন ব্যক্তির দু‘আ ফিরিয়ে দেওয়া হয় না—ন্যায়পরায়ণ শাসকের দু‘আ, রোজাদারের ইফতারের সময়কালীন দু‘আ এবং মজলুমের দু‘আ। আল্লাহ্‌ তা‘আলা এটি (দু‘আ) মেঘমালার উপর তুলে নেন, তার জন্য আকাশের দরজাগুলো খুলে যায় এবং মহান রব বলেন—

وَعِزَّتِي لَأَنْصُرَنَّكِ وَلَوْ بَعْدَ حِينٍ
আমার সম্মানের শপথ! কিছু দেরিতে হলেও আমি তোমাকে সাহায্য করবো।’1

শুধু ইফতারের সময়েই নয়, সাধারণ রোজা থাকা অবস্থায় দু‘আ করলেও কবুল করা হয়।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন—

ثلاثةٌ لا تُردُّ دعوتُهم الصَّائمُ حتَّى يُفطرَ
‘‘তিন ব্যক্তির দু‘আ ফিরিয়ে দেওয়া হয় না—রোজাদারের দু‘আ, যতক্ষণ না সে ইফতার করে…।’’2

তাই, আসুন, বিশেষভাবে আমাদের কবরবাসী মৃত আত্মীয়-স্বজন, পরিবারের সদস্য ও আপনজনদের জন্য দু‘আ করি। তারা ভীষণভাবে আমাদের দু‘আর মুখাপেক্ষী। আমাদের দু‘আ তাদের জন্য মহা-আনন্দের উপলক্ষ।

  1. [ইমাম তিরমিযি, আস-সুনান: ২৫২৬; হাদিসটি সহিহ] ↩︎
  2. [ইমাম আহমাদ, আল-মুসনাদ: ৮০৩০; হাদিসটি সহিহ] ↩︎

লিখেছেন

নুসুস টিম

কুরআন ও হাদিসের মূল পাঠকে নুসুস (text) বলা হয়। নুসুসের উপর ভিত্তি করেই আমরা লেখালেখি করি।

লেখকের অন্যান্য সকল পোষ্ট পেতে ঘুরে আসুন
Exit mobile version