Q/A

কিস্তি নেয়া জায়েয আছে কিনা কিস্তি শেষে লাভ দিতে হয়

কিস্তিতে টাকা নিলে এটা কি হালাল হবে নাকি হারাম
টাকার বিনিময়ে বেশি‌ টাকা দেওয়া হলো সুদ। এখন যদি আপনি কিস্তিতে টাকা নেওয়ার দ্বারা আপনাকে অতিরিক্ত টাকা পরিশোধ করতে হয় তাহলে সুদ হবে।

যেমন কারোর‌ নিকট ১০০ টাকা কিস্তিতে নেওয়া হয়েছে প্রতি মাসে দশ টাকা করে পরিশোধ করবেন মোট যদি আপনাকে ১১০টাকা পরিশোধ করতে হয় এটা সুদ এটা নেওয়া জায়েজ হবেনা।

কিস্তি নেয়া জায়েয আছে কিনা কিস্তি শেষে ওদের তো লাভ দিতে হয় এটা নেয়া ঠিক হবে কিনা। প্রশ্নে বর্ণিত অবস্থায় সুদ থাকায় এই কিস্তি নেওয়া জায়েজ নেই। শরীয়তের বিধান মতে সূদ দেওয়া, গ্রহন করা সবই হারাম
কুরআনে কারীমে ইরশাদ হচ্ছে-

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَذَرُوا مَا بَقِيَ مِنَ الرِّبَا إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ
হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যে সমস্ত বকেয়া আছে, তা পরিত্যাগ কর, যদি তোমরা ঈমানদার হয়ে থাক।
[সূরা বাকারা-২৭৮]
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَأْكُلُوا الرِّبَا أَضْعَافًا مُّضَاعَفَةً ۖ وَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
হে ঈমানদারগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেয়ো না। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক, যাতে তোমরা কল্যাণ অর্জন করতে পারো।
[সুরা আলে ইমরান-১৩০]

হাদিস শরিফে এসেছে-
لَعَنَ رَسُولُ اللهِ ﷺ آكل الربا وموكله وكاتبه وشاهديه، وقال : هم سواء.
আল্লাহর রাসূল ﷺ সুদখোর, সুদদাতা, সুদের লেখক এবং তার উপর সাক্ষীদ্বয়কে অভিশাপ করেছেন, আর বলেছেন, ওরা সকলেই সমান।
(মুসনাদে আহমাদ ৩৮০৯)

সুদের সঙ্গে জড়িত সবাইকে নবীজি (ﷺ) অভিশাপ দিয়েছেন। বর্ণিত হয়েছে,
‘যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, যে সাক্ষী থাকে এবং যে ব্যক্তি সুদের হিসাব-নিকাশ বা সুদের চুক্তিপত্র ইত্যাদি লিখে দেয় সবার প্রতি রাসুলুল্লাহ (ﷺ) লানত করেছেন।’
(তিরমিজি, হাদিস : ১২০৬)

লিখেছেন

Picture of আমির হামজা সিদ্দিক​

আমির হামজা সিদ্দিক​

রাসুল সা: বলেছেন ,ভালো কথাও একটি সদকাহ (আল হাদিস)

লেখকের অন্যান্য সকল পোষ্ট পেতে ঘুরে আসুন

আমির হামজা সিদ্দিক

রাসুল সা: বলেছেন ,ভালো কথাও একটি সদকাহ (আল হাদিস)

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Islami Lecture