খালিদ ইবনে সাঈদ ইবনুল আ’স রাদিয়াল্লাহু আনহু

আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুর ইসলাম গ্রহণের কয়েক ঘন্টা পর একজন ইসলাম গ্রহণ করেন। কিন্তু, তাঁকে বেশিরভাগ মুসলিম চিনে না; তাঁর নাম পর্যন্ত জানে না।

এক রাতে তিনি একটি স্বপ্ন দেখেন। তার বাবা তাকে আগুনে ফেলে দিচ্ছেন আর নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে আগুন থেকে উদ্ধার করছেন।

তৎকালীন সময়ের স্বপ্নের ব্যাখ্যায় এক্সপার্ট ছিলেন আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু। তিনি আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুর কাছে স্বপ্নের ব্যাখ্যা জানতে গেলে আবু বকর তাকে ইসলামের দাওয়াত দেন এবং বুঝান- নবিজি তাকে হিদায়াতের পথে আহবান করবেন, আর তার বাবা তাকে অন্ধকারের দিকে।

ঐদিনই আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন, তিনিও সেদিন ইসলাম গ্রহণ করেন।

ইসলাম গ্রহণের পর তাঁর বাবা তাঁকে তলব করলেন। ইসলাম ত্যাগ করার জন্য তাঁকে বল প্রয়োগ করলেন। কিন্তু, তিনি অটল। বাবা তাঁকে ৩ দিনের নির্বাসনে পাঠালেন, খাবারদাবার বন্ধ করলেন। তবুও তিনি ইসলাম ত্যাগ করছেন না।

অতঃপর তাঁর বাবা তার দুই ভাইকে পাঠালেন তার অবস্থা দেখে আসতে। কয়েকদিন আগে তার ভাই তার মাথায় আঘাত করে মাথা ফাটিয়েছিলেন! এবার তারা আরো কঠোর হবে।

কিন্তু, না। তিনি ভাইদেরকে দাওয়াত দিলেন। তাঁর দুই ভাই ইসলাম গ্রহণ করলো! রাদিয়াল্লাহু আনহুমা।

৬৩৪ খ্রিস্টাব্দে বাইজেন্টাইনদের বিরুদ্ধে মুসলিমদের একটি যুদ্ধ হয়। যুদ্ধের নাম ছিলো ‘মারজাল সাফফার‘।

যুদ্ধের ঠিক আগের দিন সেই সাহাবী বিয়ে করেন উম্মে হাকিম বিনতুল হারিস রাদিয়াল্লাহু আনহাকে। বিয়ের পরদিন স্বামী-স্ত্রী দুজন যুদ্ধে যান৷ যুদ্ধে তিনি শহীদ হন, তার স্ত্রী প্রতিপক্ষের ৭ জন যোদ্ধাকে হত্যা করে!

স্বপ্নের মাধ্যমে যেই সাহাবী হিদায়াত লাভ করেছিলেন, আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুর ইসলাম গ্রহণের কয়েক ঘন্টা পর যিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন, বিয়ের পরদিন যিনি শাহাদাত লাভ করেন, সেই সাহাবী হলেন খালিদ ইবনে সাঈদ ইবনুল আ’স রাদিয়াল্লাহু আনহু।

লিখেছেন

আরিফুল ইসলাম (আরিফ)

পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার কলম তাকে উজ্জীবিত করেছে স্বীয় বিশ্বাসের প্রাণশক্তি থেকে।
অনলাইন এক্টিভিস্ট, ভালোবাসেন সত্য উন্মোচন করতে এবং উন্মোচিত সত্যকে মানুষের কাছে তুলে ধরতে।

লেখকের অন্যান্য সকল পোষ্ট পেতে ঘুরে আসুন

পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার কলম তাকে উজ্জীবিত করেছে স্বীয় বিশ্বাসের প্রাণশক্তি থেকে।
অনলাইন এক্টিভিস্ট, ভালোবাসেন সত্য উন্মোচন করতে এবং উন্মোচিত সত্যকে মানুষের কাছে তুলে ধরতে।

Exit mobile version