নৌযানে নামাযের কিছু মাসয়ালা

নৌযানে নামায সংশ্লিষ্ট কিছু মাসয়ালা,
১. নৌযানে কেউ কখনো মুকীম হয় না। ইকামতের নিয়্যাত করলেও প্রযোজ্য হবে না। মুসাফির ই থাকবে।
২.নৌযানে নামায:

নৌযানের দুই অবস্থা:
১. চলমান,
২.দণ্ডায়মান।

প্রথম অবস্থার হুকুম:
ইমাম আবূ হানিফা রহ.এর মতে এমতবস্থায় কোন ওজর ব্যতিত বসে নামায আদায় করা বৈধ। সঙ্গীদ্বয়ের মতে, ওজর ব্যতিত বসে নামায জায়েয নয়। মতানৈক্য থেকে বাঁচার জন্য দাড়িয়ে নামায পড়া উত্তম।
তবে মুস্তাহাব হলো: সম্ভব হলে বাহিরে বের হয়ে এতমিনানের সাথে নামায আদায় করা।

দ্বিতীয় অবস্থার (অর্থাৎ যখন তীর/উপকূলে বাঁধা থাকে) হুকুম:
এখানে আবার দু’টি অবস্থা:
১.নৌযানের কিছু অংশ জমিনের উপর স্থির থাকবে।
২.কোন অংশ স্থির থাকবে না।

যদি স্থির থাকে তাহলে বের হওয়া সম্ভব হলেও নৌযানে নামায আদায় বৈধ। তবে দাঁড়িয়ে রুকু-সিজদার সাথে নামায আদায় করতে হবে।
যদি স্থির না থাকে এবং বের হয়ে নামায আদায় করা সম্ভব হয়!
এমতবস্থায় নৌযানে নামায সহীহ হবে কি হবে না?

এ বিষয়ে ফুকাহাদের দু’টি দল।
১. মুহীতুল বুরহানী,বাদা’য়ে, বাহরুর রায়েক এর গ্রন্থকারের মতে নৌযানে নামায হবে না। নৌযান থেকে বের হয়ে অন্যত্র নামায আদায় করতে হবে।
২. হেদায়া এবং নেহায়া গ্রন্থকারেরর মতে নামায সহীহ হবে।

সমন্বয়: হাকিমুল উম্মাত আশরাফ আলী থানবী রাহ.বলে; সহীহ হওয়ার মত প্রশস্ততর। আর সহীহ না হওয়ার মত সতর্কতা। অর্থাৎ নামায আদায় করলে তা বৈধ হবে।
(ইমদাদুল ফাতাওয়া জাদীদ ২/৫৩৭,
জাওয়াহিরুল ফিকহ ৩/৮৪)

৩. পুরো নামায কিবলামুখি হয়ে আদায় করা ফরজ। যদি নামায পড়া অবস্থায় কিবলা ঘুরে যায়, তাহলে মুসল্লীও নামাযে থেকেই কিবলার দিকে ঘুরে যাবে।
যদি কিবলামুখি হয়ে আদায় সম্ভব না হয়, নামায ছেড়ে দিবে। আবার যখন সম্ভব হবে তখন আদায় করবে। অন্যথায় নামায হবে না। এবিষয়ে সকলে একমত।

Exit mobile version