Writing

কষ্টের পরেই সুখ – সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের অমূল্য উপহার

আবরার কে নিয়ে মাগরিব পড়লাম, মাগরিবে সাধারণত ছোট ছোট সূরা আর চেনা আয়াত গুলোই পড়া হয়, যেন ধীরে ধীরে সে গুলো তার মাথায় গেঁথে যায়।
আজ পড়লাম সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত!
নামাজ শেষে দারসে বসলাম, বললাম আজকের লেসন এই দুই আয়াতের একটা অংশ,
“লা ইউ ক্যালিলিফুল্লাহু নাফসান ইল্লা উসাআহা”

যার অর্থ,
“আল্লাহ কাউকে তার কেপাসিটির বাইরে লোড দেন না”
আব্বা লোড দেয়া মানে কি?” – তার প্রথম প্রশ্ন
ধরো তোমাকে একটা ব্যাগ দিলাম, তুমি কি সেটা কেরি করতে পারবে?
পারবো!
এখন যদি তোমাকে ১০০ টা ব্যাগ দেই
তখন পারবে?
না!

কেন?
কারণ তখন সেটা আমার কেপাসিটির বাইরে হবে?
এক্সাক্টলি!
সো আল্লাহ আমাদেরকে এখানে এশিউর করছেন যে, আমরা লাইফে যত প্ৰব্লেম ফেইস করছি, যত কমপ্লেইন রিসিভ করছি, যত ব্যাগ কেরি করছি, যত ইনসাল্ট বা বুলিং হজম করছি, কিংবা যত অনাকাঙ্খিত একসিডেন্ট এনকাউন্টার করেছি, এর কোনোটাই আসলে আমাদের কেপাসিটির বাইরে না!

আমরা টেকেল করতে পারি দেখেই সে গুলো আসছে, আসছে হয়তো একটু টেস্ট করার জন্য, নয়তো একটু সাবধান করার জন্য, নয়তোবা আমাদেরকে প্রিপেয়ার করার জন্য।
এটা কোনো ফিলোসফি বা আইডিয়া না, এটা একটা ফ্যাক্ট!
ফ্যাক্ট কাকে বলে জানো?
ইয়েস!
এই যে সূর্য পূর্ব দিকে উঠছে, এটা একটা ফ্যাক্ট, অথবা কোনো জিনিস উপর থেকে ফেলে দিলে নিচেই পরতে থাকে, সেটাও একটা ফ্যাক্ট তাই না ?
এক্সাক্টলি!

অর্থাৎ যে সব বিষয় হচ্ছে এবসোলিউট ট্রুথ, সেই সব বিষয় গুলোই হচ্ছে ফ্যাক্ট।
“আল্লাহ কাউকে তার কেপাসিটির বাইরে লোড দেন না”
এটা তেমনি একটা ফ্যাক্ট।

আমাদের লাইফে বড় কোনো বিপদ আসলে আমরা মনে করি যে,
“হায়! হায়! এখন কি হবে”
“এই বার তো আমি শেষ”
“আমি আর পারবো না”
“আমি আর পারছি না”
“এটা আমার ক্যাপাসিটির বাইরে!!!”

আসলে দেটস নোট ট্রু, পারবো দেখেই ইসু গুলো আসছে!
ফ্যাক্ট নিয়ে যেহেতু বলছি, তাহলে আরেকটা ইন্টারেস্টিং ফ্যাক্ট বলি, কোরাআনে যত আয়াত আছে আল্লাহ উপর থেকে পাঠিয়েছেন, কিন্তু এর মধ্যে একটা ছোট্ট এক্সেপশন আছে, সূরা বাকারার শেষের যেই দুই আয়াত আজকে পড়লাম সেটা পাঠান নি, এটা আল্লাহ উপর থেকে পাঠান নি?! – অবাক বিস্ময়ে তার দ্বিতীয় প্রশ্ন

না!
তাহলে?
এ দুটোর জন্য আল্লাহ রাসূলুল্লাহকে উপরে নিজের কাছেই ডেকে নিয়েছিলেন, মিরাজে তাঁকে কাছে নিয়ে গিফট হিসেবে প্রেসেন্ট করেছিলেন!
সো এ দুটো কোনো সিম্পল আয়াত না, অনেক ওজনদার আয়াত, বলতে পারো এই আয়াতেই আছে এই ডিভাইন লো।
“লো অফ সাইন্স” যেমন আছে,
তেমনি “লো অফ লাইফ” ও আছে,
আর এই “লো অফ লাইফ” আমাদেরকে বলে যে

“আল্লাহ আসলেই কাউকে তার কেপাসিটির বাইরে লোড দেন না”

বলতে পারো এটা একটা প্রমিস আর একটা হোপ যে, যেহেতু আমাদের লাইফে এই মুহূর্তে যেই প্রব্লেমই থাকুক না কেন তা আমাদের কেপাসিটির মধ্যেই আছে, তার মানে জাস্ট একটু ধৈর্য ধরে থাকলেই হবে, কারণ কিছু দিনের পরেই তা কেটে যাবে, আর “কষ্টের পর পর তো সুখ আছেই”!!!

সো এখন থেকে লাইফে যখনি কোনো প্রব্লেম আসবে, নো মেটার হাউ বিগ ওর স্মোল, নিজেকে এই একটা কথা বার বার মনে করিয়ে দিবে,
“ব্যাপার না”
“বিষয়টা আমার কেপাসিটির মধ্যেই আছেই”
“আমি এটা হেন্ডেল করতে পারবো”
কারণ আমার আল্লাহ যেহেতু বলছেন, এর মানে হলো
“এতে কোনো সন্দেহ নাই!”
“সন্দেহ থাকতেই পারে না”
লা রাইবা ফিহি“!

লিখেছেন

Picture of সামিউল হক

সামিউল হক

জ্ঞানীদের বাণী হলো বিশ্বাসীদের হারানো সম্পদ, তা সে যেখানেই খুজে পাক"[তিরমিজি ২৬৮৭]
আমি খুঁজে বেড়াচ্ছি

Visit all other posts by this author
জ্ঞানীদের বাণী হলো বিশ্বাসীদের হারানো সম্পদ, তা সে যেখানেই খুজে পাক”[তিরমিজি ২৬৮৭]
আমি খুঁজে বেড়াচ্ছি
Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button