Q/A

জুম্মার সালাতে মিম্বার ছাড়া খুতবা দেওয়া কি জায়েজ

যদি মসজিদে কোনো উচু মিম্বার না থাকে, তাহলে তার হুকুম কি এবং মসজিদে সোফা-সদৃশ সিট আছে যেখানে খতিব সাহেব বয়ান ও খুৎবা পাঠ করেন, এবং মসজিদ নির্মাণের পর থেকে তাতে খুতবা এবং বয়ান করে আসছেন?

হাদিস থেকে জানা যায় যে, রাসুলুল্লাহ সা. এবং সাহাবারা জুমার খুতবায় মিম্বর ব্যবহার করতেন। তাই মিম্বরে দাঁড়িয়ে খুতবা দেওয়া ঐতিহ্যবাহী সুন্নত। বিনা কারণে মিম্বর ছেড়ে করা সুন্নাতের পরিপন্থী। কিন্তু যদি মসজিদে শুরু থেকে মিম্বর না থাকে, তাহলে উঁচু কিছুতে দাঁড়িয়ে খুতবা দেওয়া যেতে পারে। কারণ জুমার খুতবার জন্য মিম্বর শর্ত নয়। মিম্বর ছাড়া খুতবা দেওয়া জায়েয হবে।

حَدَّثَنَا خَلاَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ أَيْمَنَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ ـ رضى الله عنهما ـ أَنَّ امْرَأَةً مِنَ الأَنْصَارِ قَالَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَلاَ أَجْعَلُ لَكَ شَيْئًا تَقْعُدُ عَلَيْهِ فَإِنَّ لِي غُلاَمًا نَجَّارًا. قَالَ ” إِنْ شِئْتِ “. قَالَ فَعَمِلَتْ لَهُ الْمِنْبَرَ، فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ الْجُمُعَةِ قَعَدَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلَى الْمِنْبَرِ الَّذِي صُنِعَ، فَصَاحَتِ النَّخْلَةُ الَّتِي كَانَ يَخْطُبُ عِنْدَهَا حَتَّى كَادَتْ أَنْ تَنْشَقَّ، فَنَزَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى أَخَذَهَا فَضَمَّهَا إِلَيْهِ، فَجَعَلَتْ تَئِنُّ أَنِينَ الصَّبِيِّ الَّذِي يُسَكَّتُ حَتَّى اسْتَقَرَّتْ. قَالَ ” بَكَتْ عَلَى مَا كَانَتْ تَسْمَعُ مِنَ الذِّكْرِ “.
১৯৬৫. খাল্লাদ ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ……… জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, একজন আনসারী মহিলা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি কি আপনার জন্য এমন একটি জিনিস তৈরী করে দিব না, যার উপর আপনি উপবেশন করবেন? কেননা, আমার একজন সূত্রধর গোলাম আছে। তিনি বললেন, যদি তুমি ইচ্ছা কর। বর্ণনাকারী বলেন, তারপর সে মহিলা তাঁর জন্য মিম্বর বানিয়ে দিলেন। যখন জুমুআর দিন হলো, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সেই তৈরী মিম্বরের উপরে বসলেন। সে সময় যে খেঁজুর গাছের কাণ্ডের উপর ভর দিয়ে তিনি খুতবা দিতেন, সেটি এমনভাবে চিৎকার করে উঠল, যেন তা ফেটে পড়বে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নেমে এসে তাকে নিজের সঙ্গে জড়িয়ে ধরলেন। তখন সেটি ফোঁপাতে লাগল, যেমন ছোট শিশুকে চুপ করানোর সময় ফোঁপায়। অবশেষে তা স্থির হয়ে গেল। (রাবী বলেন) খেঁজুর কাণ্ডটি যে যিক্‌র-নসীহত শুনত, তা হারানোর কারণে কেঁদেছিল।

আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ (সহীহ বুখারী)

হাদীস নং: ১৯৬৫ আন্তর্জাতিক নং: ২০৯৫

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Islami Lecture