ইতিকাফ কি এবং ইতিকাফের ইতিহাস

ইতিকাফ এমন এক মহান ইবাদত, যেটিকে নবিজি শত ব্যস্ততা সত্ত্বেও গুরুত্ব দিয়ে পালন করতেন। এই পোস্টে আমরা ইতিকাফের মৌলিক কিছু বিষয় এবং ইতিকাফ সুন্দর করতে করণীয়গুলো আলোচনা করেছি।

ইতিকাফের পরিচয়

আরবি ইতিকাফ শব্দের অর্থ হলো: নিঃসঙ্গতা, বিচ্ছিন্নতা, একাকী অবস্থান করা ইত্যাদি। পরিভাষায় ইতিকাফ হলো, দুনিয়াবি সকল কাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মসজিদে অবস্থান করা।

ইতিকাফের বিধান এবং শুরু ও শেষ

আলিমগণের সর্বসম্মত (ইজমা) মতানুসারে, রামাদানের শেষ দশকে ইতিকাফ করা সুন্নাহ, এটি ওয়াজিব (আবশ্যক) নয়।
[ইমাম নববি, আল-মাজমু’: ৬/৪০৪; ইমাম ইবনু কুদামাহ, আল-মুগনি: ৪/৪৫৬]

হানাফি ইমামগণের মতে, এটি সুন্নাহ তবে, তাকিদপূর্ণ সুন্নাহ কিফায়া। অর্থাৎ, এক মহল্লার মধ্যে কমপক্ষে একজন ইতিকাফ করলে সবার পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যাবে। না হয় সবাইকে গুনাহগার হতে হবে।

রামাদানের ইতিকাফ ১০ দিনই করতে হয়। ২০ রামাদানের সূর্যাস্তের পূর্বেই মসজিদে প্রবেশ করতে হয়। কারণ সূর্যাস্ত থেকে ২১তম রামাদান শুরু হয়ে যায়। আপনারা জানেন, আরবি দিবস বা তারিখ শুরু হয় সূর্যাস্ত থেকে, এরপর শেষ হয় পরের দিন সূর্যাস্তের আগে।
অর্থাৎ, আগে দিন পরে রাত। সহজে বললে, রামাদানের ২০ তারিখে ইফতার বা মাগরিবের ওয়াক্ত (সূর্যাস্ত) শুরু হওয়ার আগেই ইতিকাফের উদ্দেশ্যে মসজিদে প্রবেশ করতে হবে। সূর্যাস্ত থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে ইতিকাফ শুরু হয়ে যাবে। আর সেটি চলবে ঈদের চাঁদ ওঠা পর্যন্ত (১০ দিন)। রাতে যখন শাওয়াল মাসের (ঈদের) চাঁদ দেখা যাবে, তখনই চাইলে ইতিকাফ শেষ করে ফেলা যাবে। তবে, কেউ চাইলে ঈদের রাতটা মসজিদেই কাটিয়ে আসতে পারে। এটি ভালো। আলিমগণ এমনটিই বলেছেন।

আর, যারা নফল ইতিকাফ করতে চান, তাদের জন্য বিষয়টি খুব সহজ। তারা এক দিন, এক রাত, বা কয়েক দিন কিংবা কয়েক রাত অথবা কয়েক মুহূর্তের জন্যও ইতিকাফ করতে পারেন। কেউ চাইলে শুধু রামাদানের বিজোড় রাতগুলোতেও নফল ইতিকাফ করতে পারবেন। নফল ইতিকাফ রামাদানের বাইরেও করা যায়। যারা রামাদানে ১০ দিনের সুন্নাত ইতিকাফ করতে পারবেন না, তারা অন্তত নফল ইতিকাফ করতে পারেন। এ ব্যাপারে নারী-পুরুষ সবার জন্য একই কথা।

ইতিকাফের সূচনা

ইতিকাফের সূচনা হয়েছিলো বহু আগে থেকে। যেমন: আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

‘‘আমি ইবরাহিম ও ইসমাইলকে আদেশ করলাম: তোমরা আমার ঘরকে তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী ও রুকু-সিজদা আদায়কারীদের জন্য পরিচ্ছন্ন করো।’’
[সুরা বাকারাহ: ১২৫]

ইতিকাফের উদ্দেশ্য

ইতিকাফের উদ্দেশ্য হলো, সৃষ্টির সাথে যাবতীয় সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে একান্ত নিভৃতে আল্লাহর ধ্যানে নিমগ্ন থাকা, যাতে মানবমনের যাবতীয় চিন্তা জুড়ে কেবল আল্লাহর যিকর, তাঁর ভালোবাসা এবং আকর্ষণই প্রাবল্য লাভ করে।
[ইমাম ইবনুল কায়্যিম, যাদুল মা‘আদ: ২/৮৭]

সেজন্য উত্তম হলো, এমন মাসজিদে ইতিকাফ করা, যেখানে মানুষ চিনবে না। ফলে কেউ তার সাথে কথা বলতে আসবে না। সে নিরবে আল্লাহর সান্নিধ্যে থাকতে পারবে।

এছাড়া, ইতিকাফের প্রধান উদ্দেশ্য হলো, লাইলাতুল কদর তালাশ করা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
‘‘আমি (রমাদানের) প্রথম ১০ দিন ইতিকাফ করে এ রাতটি খুঁজলাম, এরপর মাঝের ১০ দিন ইতিকাফ করলাম। অতঃপর আমার কাছে (ফেরেশতা) আসলেন। আমাকে বলা হলো, এ রাতটি শেষ দশকে রয়েছে। সুতরাং, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তিই ইতিকাফ করতে চায়, সে যেন ইতিকাফ করে।’’
[ইমাম মুসলিম, আস-সহিহ: ২৬৬১]

তাছাড়া, ইতিকাফের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো: নিজের কামনা-বাসনার উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা এবং প্রবৃত্তিদমন ও অহেতুক কাজ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখার অভ্যাস গড়ে তোলা। ইতিকাফ এ বিষয়ে নজিরবিহীন সমাধানের পথ, ইনশাআল্লাহ।

ইতিকাফ সুন্দর করতে করণীয়

ইতিকাফের গুরুত্ব ও উপকারিতা

ইতিকাফের গুরুত্ব এবং অপরিসীম উপকারিতাঃ

আয়িশা (রা.) বলেন,
‘মহান আল্লাহ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মৃত্যু দেওয়া পর্যন্ত প্রতি বছর রামাদানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন। তাঁর (ইন্তিকালের) পর তাঁর স্ত্রীগণ ইতিকাফ করতেন।’
[ইমাম মুসলিম, আস-সহিহ: ২৬৭৪]

রামাদানের শেষ দশ দিন ইতিকাফ আদায় করলে লাইলাতুল কদরের সৌভাগ্য নসিব হয়। নবিজি এই উদ্দেশ্যেই ইতিকাফ করতেন।

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘আমি (রমাদানের) প্রথম ১০ দিন ইতিকাফ করে এ মহান রাতটি খুঁজলাম, এরপর দ্বিতীয় ১০ দিন ইতিকাফ করলাম। অতঃপর আমার কাছে (ফেরেশতা) আসলেন। আমাকে বলা হলো, এ রাতটি শেষ দশকে রয়েছে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তিই ইতিকাফ করতে চায়, সে যেন ইতিকাফ করে।’’
[ইমাম মুসলিম, আস-সহিহ: ২৬৬১]

ইতিকাফের (দশ দিন দশ রাত) পুরো সময়টাই ইবাদত হিসেবে গণ্য হয়।

ইবনু আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইতিকাফকারী সম্পর্কে বলেছেন,
‘‘সে পাপ থেকে বেঁচে থাকে এবং তার নেকির প্রতিদানের মধ্যে সর্বপ্রকার নেকি সম্পাদনকারীর ন্যায় নেকি অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে।’’
[ইমাম ইবনু মাজাহ, আস-সুনান: ১৭৮১: হাদিসটির সনদ দুর্বল]

ইতিকাফকারী বান্দাকে আল্লাহ জাহান্নামের আগুন থেকে হেফাজত করবেন

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এক দিন ইতিকাফ করবে, আল্লাহ তার ও জাহান্নামের মাঝে তিন পরিখা পরিমাণ দূরত্ব তৈরি করে দেবেন। প্রত্যেক পরিখার দূরত্ব দুই দিগন্তের চেয়েও বেশি।’’ [ইমাম বাইহাকি, শু‘আবুল ঈমান: ৩৯৬৫; হাদিসটির সনদ কারও মতে হাসান, কারও মতে দুর্বল]

আল্লাহর সান্নিধ্যে জীবনের পরিবর্তন

মাসজিদের পরিবেশে, একান্ত নিভৃতে ১০ দিনের এই সময়টা বান্দাকে ধৈর্যশীল, সহনশীল ও আল্লাহমুখী করে তোলে।
ইমাম ইবনুল জাওযি (রাহ.) বলেন, ‘দেখলাম কিছু লোক খুব নামাজ পড়ে, তিলাওয়াত করে ও রোজা রাখে; কিন্তু তাদের হৃদয় যেন ছুটন্ত ঘোড়া। আবার, কিছু লোক নামাজ পড়ে সামান্য, রোজাও রাখে পরিমিত, কিন্তু তাদের অন্তর অত্যন্ত নিবিড়, একান্ত এবং শান্ত ও স্থির। আমি বুঝলাম, আল্লাহকে পেতে হলে বেশি ইবাদত নয়, বরং অধিক নির্জনতার প্রয়োজন।’
[ইমাম ইবনুল জাউযি, সইদুল খাতির, পৃষ্ঠা: ৩৫৫]

ইতিকাফে বসে কী কী আমল করবেন

একজন মানুষ খুব স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন আসতে পারে, আমি ইতিকাফে বসে কি কি আমল করতে পারে।

অধিক পরিমাণে ইস্তিগফার করা

নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতিদিন ৭০ বারের বেশি ইস্তিগফার পড়তেন।
[ইমাম বুখারি, আস-সহিহ: ৬৩০৭]

সায়্যিদুল ইস্তিগফার পড়বেন সাধ্যমত। এছাড়া, আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতুবু ইলাইহি, আল্লাহুম্মাগফিরলি, রাব্বিগফিরলি ইত্যাদি সহজ ইস্তিগফারগুলো বেশি বেশি পড়বেন। অন্যান্য ইস্তিগফারও পড়বেন, যেগুলো জানা আছে।

কুরআন তিলাওয়াত করা

অধিক পরিমাণে কুরআন তিলাওয়াত করা। হাদিসে এসেছে,
“তোমরা কুরআন পাঠ করো, কারণ, কুরআন কিয়ামতের দিন তার সাথীর (পাঠকের) জন্য সুপারিশকারী হবে।”
[ইমাম মুসলিম, আস-সহিহ: ১৭৫৯]

সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস—এই ৩টি সুরা প্রত্যেক নামাজের পর ১ বার করে পড়বেন। ঘুমানোর আগে এবং সকাল-সন্ধ্যায় ৩ বার করে পড়বেন। বিশেষ করে, রাতে সুরা মুলক এবং সুরা বাকারার শেষ ২ আয়াত পড়বেন। জুমার দিনে সুরা কাহাফ পড়বেন।
হাদিস এবং ধর্মীয় বইও পড়া যেতে পারে।

যিকর করা

বেশি বেশি যিকর করা।
একদিন নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবিদের সামনে বললেন, ‘
‘মুফাররাদগণ (একাকী মানুষেরা) এগিয়ে গেলো।’’ সাহাবিগণ প্রশ্ন করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! মুফাররাদ কারা?’ তিনি বলেন, ‘‘আল্লাহর বেশি বেশি যিকরকারী নারী-পুরুষেরা।’’
[ইমাম মুসলিম, আস-সহিহ: ৬৭০১]

সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার—এগুলো প্রত্যেকটি প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০ বার করে পড়বেন। যত বেশি পারবেন, তত ভালো। এছাড়া ‘লা হাউলা ওয়ালা ক্বুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’, ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আযিম’ এবং ‘সুবহানাল্লাহিল আযিমি ওয়া বিহামদিহ’ এই তাসবিহগুলো বেশি বেশি পড়বেন।

দরুদ পাঠ করা

নবিজির উপর দরুদ পাঠ করা।
নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
‘‘যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরুদ পাঠ করবে, আল্লাহ তার প্রতি ১০ বার রহমত বর্ষণ করবেন, তার ১০ টি গুনাহ মোচন করবেন এবং তার জন্য ১০ টি (মর্যাদার) স্তর উন্নীত করবেন।’’
[ইমাম নাসায়ি, আস-সুনান: ১২৯৭; ইমাম ইবনু হিব্বান, আস-সহিহ: ৯০৪; হাদিসটি সহিহ]

নামাজের শেষ বৈঠকে আমরা যে দরুদ পড়ি, সেটিই সর্বোত্তম। এছাড়াও অন্যান্য দরুদ পড়তে পারেন। সুনানে নাসায়ির সহিহ হাদিসে বর্ণিত একটি সহজ দরুদ হলো,
‘‘আল্লাহুম্মা সল্লি আ-লা মুহাম্মাদ, ওয়া আলা আ-লি মুহাম্মাদ’’।

নফল নামাজ পড়া

সাধ্যানুসারে নফল নামাজ পড়া।
একজন সাহাবি জান্নাতে নবিজির সান্নিধ্য লাভের জন্য তীব্র বাসনা ব্যক্ত করলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেন,
‘‘তাহলে বেশি বেশি সিজদার মাধ্যমে (অর্থাৎ নামাজের মাধ্যমে) তুমি নিজের জন্যই আমাকে সাহায্য করো।’’
[ইমাম মুসলিম, আস-সহিহ: ৯৮১]

ইতিকাফকারী গুরুত্বের সাথে তাহাজ্জুদ, চাশত (দোহা), যাওয়াল, তাহিয়্যাতুল অজু, তাহিয়্যাতুল মাসজিদ ইত্যাদি নামাজ আদায় করবেন। ইতিকাফের দিনগুলোতে এগুলোতে অভ্যস্ত হওয়া ব্যক্তির জন্য কঠিন নয়।

দু‘আ করা

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
‘‘আল্লাহ তা‘আলার নিকট দু‘আর চেয়ে অধিক সম্মানিত আর কিছু নেই।’’
[ইমাম তিরমিযি, আস-সুনান: ৩৩৭০; হাদিসটি হাসান]
বিশেষ করে, শেষ রাতে এবং জুমার দিন আসরের পর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দু‘আ করবেন।
আপনি বাংলায় রাব্বানা দিয়ে কুরআন থেকে উচ্চারণ সহ ৪০ টি দোয়া শিখে নিতে পারেন।
বিশেষ দুটো দু‘আ বেশি বেশি পড়া

ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﺍﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ ﻭَﻟِﻮَﺍﻟِﺪَﻱَّ ﻭَﻟِﻠْﻤُﺆْﻣِﻨِﻴﻦَ ﻳَﻮْﻡَ ﻳَﻘُﻮﻡُ ﺍﻟْﺤِﺴَﺎﺏُ
অর্থ: হে আমাদের রব! আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং সকল ঈমানদারকে আপনি সেদিন ক্ষমা করে দিয়েন, যেদিন হিসাব কায়েম করা হবে।
[সুরা ইবরাহিমঃ ৪১]

আয়িশা (রা.) বলেন, আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আমি যদি বুঝতে পারি, কোনটি কদরের রাত, তাহলে ওই রাতে কী বলবো?’ নবিজি বলেন, তুমি বলো—

اَللّٰهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّيْ
[আল্লা-হুম্মা ইন্নাকা ‘আফুউ-উন, তু‘হিব্বুল ‘আফওয়া ফা‘অ্ফু ‘আন্নি]
অর্থ: হে আল্লাহ্! আপনি ক্ষমাশীল, আপনি ক্ষমা করতে পছন্দ করেন। অতএব, আমাকে ক্ষমা করে দিন।
[ইমাম ইবনু মাজাহ, আস-সুনান: ৩৮৫০; হাদিসটি সহিহ]

লিখেছেন

নুসুস টিম

কুরআন ও হাদিসের মূল পাঠকে নুসুস (text) বলা হয়। নুসুসের উপর ভিত্তি করেই আমরা লেখালেখি করি।

লেখকের অন্যান্য সকল পোষ্ট পেতে ঘুরে আসুন
Exit mobile version