একই সূরা একের অধিকবার পড়লে কি প্রতিবার বিসমিল্লাহ পড়তে হবে
একই সুরা অধিকবার পড়লে, প্রথমে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়লে আরও যত বার একই সুরা পরি, ততবার কি বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়তে হবে নাকি একবার বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়লেই হবে।
একই সূরা যদি পরপর বা একই আসরে একাধিকবার পড়া হয়, তাহলে প্রতিবার আলাদাভাবে “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম” পড়া ওয়াজিব বা জরুরি নয়। সূরা শুরু করার সময় একবার “বিসমিল্লাহ” পড়লেই যথেষ্ট।
এর কারণ হলো—হানাফি মাজহাবের মতে “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম” সাধারণত সূরার অংশ নয়; বরং এটি সূরার মাঝে বিভাজক বা চিহ্ন। তাই একই আসরে বারবার একই সূরা পড়লে আলাদাভাবে প্রতিবার “বিসমিল্লাহ” পড়ার বাধ্যবাধকতা নেই।
তবে পড়লে ক্ষতি নেই—অতিরিক্ত সওয়াবের আশায় কেউ প্রতিবার পড়তে চাইলে পড়তে পারেন; কিন্তু ফরজ/ওয়াজিব হিসেবে পড়তে হয় না।
হানাফি ফিকহের নির্ভরযোগ্য গ্রন্থে এসেছে—
البناية شرح الهداية (২/১৯২, دار الكتب العلمية):
الثالث: أنها ليست من أول كل سورة عندنا. وقال الشافعي وأصحابنا: هي من أول كل سورة على الصحيح من المذهب عندهم.
অর্থ:
- হানাফি মতে: “বিসমিল্লাহ” প্রতিটি সূরার শুরু নয়।
- শাফেয়ি মতে: “বিসমিল্লাহ” প্রতিটি সূরার অংশ—এটাই তাদের মতে অধিক গ্রহণযোগ্য।
এ থেকে পরিষ্কার যে হানাফি মতে “বিসমিল্লাহ” সূরার অংশ নয়; তাই বারবার সূরা পড়লে প্রতিবার পড়া জরুরি নয়।
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে একবার “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম” পড়াই যথেষ্ট। একাধিকবার পড়া জরুরী নয়।
البناية شرح الهداية: (192/2، ط: دار الكتب العلمية)
الثالث: أنها ليست من أول كل سورة عندنا. وقال الشافعي وأصحابنا: هي من أول كل سورة على الصحيح من المذهب عندهم.
والله اعلم بالصواب








