Q/A

বিড়াল ক্রয় বিক্রয় জায়েয রয়েছে কিনা

বিড়াল এমন একটি প্রাণী যার মালিকানা সাব্যস্ত হয় না এবং একে খাঁচাবন্দীও করা জায়েয নয়। এজন্য বিড়াল ব্যবসায়ী পণ্য না। কারণ বিড়াল মানুষের পাশেই ঘুরাঘুরি করে।
এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি ধমক দিয়েছেন। আবূ যুবাইর (রাহিমাহুল্লাহ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,

سَأَلْتُ جَابِرًا عَنْ ثَمَنِ الْكَلْبِ وَالسِّنَّوْرِ قَالَ زَجَرَ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ذَلِكَ
‘আমি জাবির (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর নিকট কুকুর ও বিড়াল কেনাবেচা করার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ ব্যাপারে সাবধান করে দিয়েছেন
(ছহীহ মুসলিম, হা/১৫৬৯; আবূ দাঊদ, হা/৩৪৭৯; মিশকাত, হা/২৭৬৮)।

বিদ্বানগণের মাঝে সামান্য মতভেদ থাকলেও ব্যবসা না করার ব্যাপারেই অধিকাংশ বিদ্বান মত দিয়েছেন। অনেকে কঠোরভাবে নিষেধ করেন। যেমন ইমাম ইবনুল ক্বাইয়িম (রাহিমাহুল্লাহ) বিড়াল কেনাবেচাকে হারাম হিসাবেই সাব্যস্ত করেছেন (যাদুল মা‘আদ, ৫ম খণ্ড, পৃ. ৬৮৫)।

সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া বোর্ড থেকে এমনই ফৎওয়া দেয়া হয়েছে যে, ‘কুকুর, বিড়াল সহ হিংস্র এ জাতীয় কোন প্রাণীই কেনাবেচনা জায়েয নেই। এতে অর্থের অপচয় ছাড়া আর কিছুই না’ (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়েমা, ১৩তম খণ্ড, পৃ. ৩৭)।

তবে ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে বিড়াল বিক্রয় জায়েজ, তবে তার আমদানী ব্যবহার করা মাকরুহে তানযিহি।

عن جابر رضی اللہ عنہ أن النبي صلی اللہ علیہ وسلم نہی عن أکل الہرّة وأکل ثمنہا (مشکاة: ۳۶۱)
قال في المرقاة أکل لحم الہرّة حرام بلا خلاف وأما بیعہا وأکل ثمنہا فلیس بحرام بل ہو مکروہ (مرقاة)
সারমর্মঃ উক্ত হাদীসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে যে বিড়ালের গোশত খাওয়া সর্বসম্মতিক্রমে হারাম

তবে সেটা বিক্রয় করা, তার মূল্য খাওয়া হারাম নয়
বরং মাকরুহ।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এটাই হানাফি মাযহাব এর মত।
তবে এক্ষেত্রে কিছু ইসলামী স্কলারগন মতবিরোধ করেছেন।
সুতরাং তাদের মতানুসারী গন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন। কোনো সমস্যা নেই।

আর এমনিতেই বিড়াল পালা বৈধ। হাদিস শরিফে আছে, আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘জনৈক মহিলাকে একটি বিড়ালের কারণে আজাব দেওয়া হয়। সে বিড়ালটিকে বন্দি করে রাখে, এ অবস্থায় সেটি মারা যায়। সে এটিকে বন্দি করে রেখে পানাহার করায়নি এবং তাকে ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে (নিজে) জমিনের পোকা-মাকড় খেতে পারে। ‘
(সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৪৮২)

والله اعلم بالصواب

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Islami Lecture