আপনার সন্তানদের সময় দিন
মৃত্যুর পর সন্তানের দুয়ার বরকতে আপনার শাস্তি কম হতে পারে, আপনার আযাব মাফ হতে পারে, মৃত্যু পরবর্তী জীবনের মর্যাদায় পরিবর্তন আসতে পারে ইন শা আল্লাহ।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
আল্লাহ তা’আলা কোন কোন নেকবান্দার মর্তবা তার আমলের তুলনায় অনেক উচ্চ করে দেবেন। সে প্রশ্ন করবে, হে রব! আমাকে এই মর্তবা কিরূপে দেয়া হল? আমার আমল তো এই পর্যায়ের ছিল না। উত্তর হবে, তোমার সন্তান-সন্ততি তোমার জন্যে ক্ষমাপ্রার্থনা ও দো’আ করেছে। এটা তারই ফল। (মুসনাদে আহমাদ:২/৫০৯)
যখন মানুষ মৃত্যুবরণ করে তখন তার সব আমল বন্ধ হয়ে যায়, কেবল তিনটি ব্যতীত: এক. সদাকাহ্ জারিয়াহ (এমন দান, যা চলমান থাকে); দুই. এমন জ্ঞান, যা উপকৃত করে এবং তিন. নেককার সন্তান, যে তার জন্য দু’আ করে। (সহিহ মুসলিম: ৩/১২৫৫)
দুনিয়ার জীবনে আপনি অনেক ব্যস্ত, তবুও আপনার নিজের মৃত্যু পরবর্তী জীবনের জন্য এবং সন্তানের ভালোর জন্যই সন্তানদের পর্যাপ্ত সময় দিন।
সন্তানদের দ্বীনী শিক্ষা দিন।
সালাত আদায়ে নির্দেশ দিন, প্রয়োজনে কঠোর হোন।
কুরআন তিলাওয়াত করতে উৎসাহ দিন।
রাসূলুল্লাহ ﷺ এর জীবনী পড়তে দিন,
হাদিসের কিতাবগুলো কিনে দিন যাতে তারাও পড়ার উপযুক্ত পরিবেশ পায়।
ছোট বয়সে সবাই সব বুঝবে না, মন নরম থাকে। সুতরাং তাদের আদরের সাথে বুঝাতে হবে। জোর করে নয়, বরং ভালবেসে শেখে সেইরকমভাবে তাদের গড়ে তুলুন।
আপনার সন্তান আপনাকে দেখে অনেক কিছুই শেখে, তাই আপনি নিজেও পিতামাতার সাথে উত্তম আচরণ করুন। নিয়মিত মাবাবার জন্য দুয়া করুন যাতে তারাও আপনার মৃত্যুর পর এই অভ্যাসটি ধরে রাখতে পারে।
হে আমার প্রতিপালক! তাদের প্রতি দয়া করুন যেভাবে শৈশবে তারা আমাকে প্রতিপালন করেছিলেন।
(সূরা বানী ইসরাঈল:২৪)
হে আমাদের প্রতিপালক! যেদিন হিসেব অনুষ্ঠিত হবে সেদিন আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং মু’মিনগণকে ক্ষমা করে দিয়েন।
(সূরা ইবরাহীম:৪১)