Writing

বিনা দাওয়াতে খাবার হালাল নয়

আপনার বাসা/বা‌ড়ি কোনো ক‌মিউ‌নি‌টি সেন্টারে পাশে, যেখানে নিয়‌মিত খাবার ফাংশন চলতে থাকে। আপ‌নি এ সব অনুষ্ঠানে প্রায়শঃ দাওয়াত ছাড়াই খেতে বসে যান। ‌নিয়‌মিত বা অ‌নিয়‌মিত আপ‌নি এমন করে চলেছেন। এটাকে আপ‌নি আপনার অ‌ধিকার মনে করেন। কেউ প‌রিচয় জিজ্ঞাস করলে আপ‌নি মিথ্যা প‌রিচয় দিচ্ছেন।

অথচ ছেলেপক্ষ বা মেয়েপক্ষ কেউ আপনাকে চেনে না। দাওয়াত দেওয়া তো দূরের কথা। আপ‌নি যে এভাবে খেয়ে যাচ্ছেন, এই খাবার কি হালাল হচ্ছে, আপ‌নি কখনো ভেবে দেখেছেন?

জেনে রাখুন, বিনা দাওয়া‌তে, অথবা বিনা অনুম‌তি‌তে আপ‌নার এই খাবার গ্রহণ জায়েয হয়‌নি। হাঁ, আপ‌নি য‌দি স‌ত্যি মুহতাজ হন, তা হলে আপ‌নি অনুম‌তি গ্রহণ করুন। তারপর খাবার গ্রহণ করুন। স্থানীয়তার দাপট দে‌খি‌য়ে বা সেন্টারওয়ালা‌দের সা‌থে আঁতাত ক‌রে দাওয়াত বা ইজাযত ছাড়া আপ‌নি যা কর‌ছেন, তা কেবল ‘খাবারচু‌রি‘ নয়, ‘খাবারসন্ত্রা‌সে’র পর্যা‌য়ে প‌ড়ে। এ দু‌র্বিত্তপনা থে‌কে বিরত থাকা জরু‌রি, য‌দি আপ‌নি মু‌মিন হন।

একই কথা বিনা অনুম‌তি‌তে যে‌কো‌নো বি‌য়ে/জিয়াফ‌ত ইত্যাদির খাস দাওয়া‌তে খাবার গ্রহ‌ণের বেলায়। সবার জন‌্য উন্মুক্ত থাক‌লে ভিন্ন কথা। যারা এসব কর‌ছেন, তারা একস‌ঙ্গে ক‌য়েক ধর‌নের গুনাহ কর‌ছেন।

এক. মিথ‌্যা বল‌ছেন।
দুই. হারামভা‌বে খাবার খা‌চ্ছেন।
তিন. ক্ষেত্রবি‌শে‌ষে জোর প্রয়োগ কর‌ছেন, যা ছিনতাই বা সন্ত্রা‌সের পর্যা‌য়ে। যা চু‌রি থে‌কেও মারাত্মক অপরাধ।

চার. আয়োজক কতৃপক্ষকে বিপাকে ফেলছেন। আপ‌নি ও আপনাদের খাবা‌র খেয়ে ফেলার কারণে অনেকসময় মেহমানদের খাবারে অকুলান দেখা দেয়, যা মেজবানপক্ষের কষ্ট ও লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এমন‌কি ঝগড়াঝা‌টির কারণ হয়। এর দায় আপনারও আছে।

সুতরাং বিনা অনুম‌তিতে বা বিনা দাওয়াতে খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন। এটা অন্যায় ও অভদ্রতা।

লিখেছেন

Picture of সাইফুদ্দীন গাযী

সাইফুদ্দীন গাযী

‌শিক্ষকতা, দাওয়াহ, লেখালে‌খি, সস্পাদনা, খুতবা প্রদান

All Posts

‌শিক্ষকতা, দাওয়াহ, লেখালে‌খি, সস্পাদনা, খুতবা প্রদান

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button