Q/AAbdullahil Hadi

জুমার ১ রাকাত অথবা শুধু তাশাহুদ পেলে করণীয়

এক ব্যক্তি জুমার নামাজে দেরিতে পৌঁছে শুধু তাশাহুদ পেল। আরেক ব্যক্তি দেরিতে পৌঁছে দ্বিতীয় রাকাত পেল। উভয় ক্ষেত্রে কী করণীয়?
তারা কি চার রাকাত নামাজ পড়বে নাকি দুই রাকাত?

যে ব্যক্তি জুমার নামাজের এক রাকাত পেয়েছে, সে জুমা পেয়েছে। ইমামের সালাম ফেরানোর পর সে আরও এক রাকাত যোগ করবে। এরপর তাশাহুদ ও দুআ পড়ে সালাম ফেরালে তার জুমার নামাজ সম্পন্ন হবে। এটি নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এই হাদিসের উপর ভিত্তি করে:

«مَنْ أَدْرَكَ رَكْعَةً مِنَ الْجُمُعَةِ؛ فَلْيُضِفْ إِلَيْهَا أُخْرَى، وَقَدْ تَمَّتْ صَلاَتُهُ»
“যে ব্যক্তি জুমার এক রাকাত পেল সে যেন তার সাথে আরও এক রাকাত যোগ করে, তাহলে তার নামাজ পূর্ণ হবে।”

এবং এই হাদিসের উপর ভিত্তি করে:

«مَنْ أَدْرَكَ رَكْعَةً مِنَ الصَّلاَةِ؛ فَقَدْ أَدْرَكَ الصَّلاَةَ»
“যে ব্যক্তি নামাজের এক রাকাত পেল, সে নামাজ পেয়েছে।”

আর যে ব্যক্তি শুধু তাশাহুদ পেয়েছে, সে জোহর নামাজ পড়বে। তার জুমার নামাজ ছুটে গেছে। যদি সূর্য হেলে গিয়ে থাকে (যাওয়াল হয়ে থাকে), তাহলে সে জোহর নামাজ পড়বে। তবে যদি সূর্য এখনো না হেলে থাকে তাহলে সে যাওয়ালের আগে নামাজ পড়বে না। কারণ কিছু মানুষ জুমার নামাজ সূর্য হেলে যাওয়ার আগেই পড়ে থাকে। তবে খতিব এবং ইমামদের উচিত, সূর্য হেলে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা। কারণ অধিকাংশ আলেমদের মতে, জোহরের নামাজের মতোই সূর্য হেলে যাওয়ার আগে জুমা’আর নামাজ আদায় করা জায়েজ নয়।

কিছু আলেম অবশ্য কিছু হাদিসের ভিত্তিতে সূর্য হেলে যাওয়ার আগেও জুমার নামাজ জায়েজ বলে থাকেন। তবে মুমিনের জন্য নিরাপদ হলো, সূর্য হেলে যাওয়ার পর নামাজ আদায় করা। যাতে মতবিরোধ থেকে বাঁচা যায়।

সুতরাং যদি দেরিতে আসা ব্যক্তি ইমামকে তাশাহহুদে পায় এবং সূর্য হেলে গিয়ে থাকে তাহলে ইমামের সালাম ফেরানোর পর সে জোহরের নিয়তে চার রাকাত নামাজ পড়বে।

কিন্তু যদি সূর্য এখনো না হেলে থাকে, তাহলে সে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করবে এবং এরপর নিজের বাড়িতে, মসজিদে বা যেকোনো স্থানে জোহর নামাজ পড়বে।

উত্তরদাতা:
ইমাম আব্দুল আজিজ বিন বায রহ.
(সৌদি আরবের সাবেক প্রধান মুফতি)
Source: binbaz org]

যে ব্যক্তি জুমার এক রাকাত পেল সে কি কিরাত উচ্চস্বরে নাকি নীরবে পড়বে?

যে ব্যক্তি ইমামের সাথে জুমার নামাজের এক রাকাত পায়, সে ইমামের সালাম ফেরানোর পর দ্বিতীয় রাকাত আদায়ের জন্য দাঁড়াবে। আর জুমার নামাজ যেহেতু একটি জেহরি (উচ্চস্বরের) নামাজ সেহেতু তার জন্য দ্বিতীয় রাকাতে উচ্চস্বরে কিরাত পড়া শরিয়তসম্মত। [Source: Islamweb]

– এ প্রসঙ্গে বর্তমান সময়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আলেম ডক্টর শাইখ সালেহ আল ফাওজান (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন, এ ক্ষেত্রে সে চাইলে উচ্চস্বরেও কিরাত পাঠ করতে পারে, নিম্নস্বরেও পাঠ করতে পারে। উভয়টি জায়েজ। তবে উচ্চস্বরে পাঠ করা সুন্নত। কারণ জুমার নামাজ একটি জেহরি নামাজ। [উৎস: শাইখের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল)

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button