যেভাবে রাগ নিয়ন্ত্রণ করবেন

এক ঢিলে তিন পাখি শিকার। গতো পর্বে আমরা ‘হিলম’ নিয়ে আলোচনা করেছি। হিলমের দুটো অর্থ। একটি অর্থ হলো প্রজ্ঞা, আরেকটি অর্থ হলো রাগ নিয়ন্ত্রণ। আজ আমরা রাগ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আলোচনা করবো।

আল্লাহর গুণবাচক নামগুলোর মধ্যে একটি নাম হলো ‘আল-হালিম’। আল্লাহর ক্ষেত্রে আল-হালিম মানে হলো- যিনি তাঁর সৃষ্টির ওপর রাগ নিয়ন্ত্রণ করেন, যদিও তাঁর সৃষ্টি রাগ করার মতো কিছু করেছে। অর্থাৎ, মানুষ এমন কোনো কাজ করেছে, যার ফলে আল্লাহ মানুষের ওপর রাগান্বিত হতে পারেন। কিন্তু, তিনি রাগান্বিত না হয়ে তাঁর বান্দাকে ক্ষমা করে দেন। এজন্য তাঁকে বলা হয় ‘আল-হালিম’।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:

“আল্লাহর চেয়ে বেশি ধৈর্যধারণকারী আর কেউ নেই। লোকেরা তাঁর জন্য সন্তান সাব্যস্ত করে, এরপরও তিনি তাদেরকে বিপদমুখ রাখেন এবং রিযিক দান করেন।”
[সহীহ বুখারী: ৬০৯৯]

আল্লাহ পবিত্র কুরআনে নিজেকে অনেকবার ‘হালিম’ বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন:

وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ يَعْلَمُ مَا فِي أَنفُسِكُمْ فَاحْذَرُوهُ ۚ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ غَفُورٌ حَلِيمٌ
“তোমরা তাঁকে ভয় করো এবং জেনে রাখো, নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল (হালিম)।”
[সূরা বাকারা ২: ২৩৫]

আল্লাহ হলেন আল-হালিম। রাগ করার মতো কাজ করা সত্ত্বেও তিনি রাগান্বিত হন না। তিনি যেমন আল-হালিম, তেমনি যারা এই গুণে গুণান্বিত তিনি তাদের প্রশংসা করেন। পবিত্র কুরআনে তিনি নবী ইব্রাহিম আলাইহিস সালামের প্রশংসা করেন, কারণ তিনি এই গুণে গুণান্বিত।

নিজের রাগকে সংযত রাখা হলো মুমিনের অন্যতম গুণাবলী। আল্লাহ পবিত্র কুরআনে এই গুণের প্রশংসা করেন এবং যারা নিজেদের রাগ সংযত করে, তাদেরকে তিনি তিনটি পুরস্কারের ঘোষণা দেন। সেগুলো হলো:

আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেন:

وَسَارِعُوا إِلَىٰ مَغْفِرَةٍ مِّن رَّبِّكُمْ وَجَنَّةٍ عَرْضُهَا السَّمَاوَاتُ وَالْأَرْضُ أُعِدَّتْ لِلْمُتَّقِينَ
الَّذِينَ يُنفِقُونَ فِي السَّرَّاءِ وَالضَّرَّاءِ وَالْكَاظِمِينَ الْغَيْظَ وَالْعَافِينَ عَنِ النَّاسِ ۗ وَاللَّهُ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ
“তোমরা দ্রুত অগ্রসর হও তোমাদের রবের পক্ষ থেকে মাগফিরাত ও জান্নাতের দিকে, যার পরিধি আসমানসমূহ ও যমিনের সমান; যা মুত্তাকিদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। (এগুলো তাদের জন্য) যারা সুসময়ে ও দুঃসময়ে ব্যয় করে এবং রাগ সংবরণ করে ও মানুষকে ক্ষমা করে। আর আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালোবাসেন।”
[সূরা আলে-ইমরান: ১৩৩-১৩৪]

এখানে উল্লেখ যে, যারা রাগ সংবরণ করে তাদের কথা বুঝাতে আল্লাহ যে শব্দ ব্যবহার করেছেন, সেটা হলো ‘কাজিমিনা গাইজা’; তিনি ‘কাজিমিনাল গাদাভ’ শব্দটি ব্যবহার করেননি। এগুলোর মধ্যে পার্থক্য কী?

এখানে, আল্লাহ বলেন, যারা রাগ শুরু হবার সাথে সাথেই তা নিয়ন্ত্রণ করে, তাদের জন্য পুরস্কার। এর মানে হলো, আপনি রাগান্বিত হবার আগেই রাগ নিয়ন্ত্রণ করবেন যাতে করে আপনার রাগ ‘গাদাভ’ পর্যন্ত না পৌঁছায়।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:

“আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য বান্দার ক্রোধ সংবরণে যে মহান প্রতিদান রয়েছে, তা অন্য কিছু সংবরণে নেই।” [সুনানে ইবনে মাজাহ: ৪১৮৯]

যেমন ধরুন, প্রচণ্ড গরমের মধ্যে যদি আপনি একগ্লাস ঠাণ্ডা পানি পান করেন, সেটা গিলে ফেলার পর আপনার কেমন লাগবে? আপনি কতোটা সন্তুষ্ট হবেন? ঠিক তেমনি, আপনার যদি রাগ উঠে আর আপনি সেটা সংবরণ করেন, তাহলে সেটা আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয়।

একবার এক লোক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে পরামর্শ নিতে আসলো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে পরামর্শ দিলেন-

“রাগ করো না।”

লোকটি আরো উপদেশ নিতে চাইলো। কিন্তু, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতিবারই তাকে বললেন, “রাগ করো না।”
[সহীহ বুখারী: ৬১১৬]

তখন সে বুঝলো যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে এই উপদেশই দিলেন। একটি মাত্র উপদেশ, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ।

আমরা বলেছিলাম যে, হিলমের দুটো অর্থ হতে পারে। একটি অর্থ প্রজ্ঞা, আরেকটি অর্থ রাগ নিয়ন্ত্রণ। দুই গুণের মধ্যে মিল আছে। আপনি যদি রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন, তাহলে আপনি প্রজ্ঞাবান হতে পারবেন না। আপনাকে প্রজ্ঞাবান হতে হলে রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবীদেরকে জিজ্ঞেস করেন, “সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তি কে?” সাহাবীরা বললে, “যে কুস্তিতে অন্যকে পরাজিত করে।”

তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:

“প্রকৃত বীর সে নয়, যে কাউকে কুস্তিতে পরাজিত করে। বরং সেই আসল বীর, যে রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে।”
[সহীহ বুখারী: ৬১১৪, সহীহ মুসলিম: ৬৫৩৫]

যে নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করে, সে মূলত তিনটি শক্তির ওপর বিজয়ী হয়। সেগুলো হলো:

আপনি যদি আপনার রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, তাহলে আপনি এক ঢিলে তিনটি পাখি শিকার করলেন!

আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনী পড়লে অবাক হবেন। দেখবেন তাঁর জীবনে এতো এতো ঘটনা ঘটেছে, রাগান্বিত হবার মতো এতো এতো কারণ ছিলো, কিন্তু তিনি নিজের রাগকে ঐভাবে প্রকাশ করেন। তিনি নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করেন।

আমরা দেখতে পাই, আমাদের মধ্যে যারা সবচেয়ে শান্তশিষ্ট, তারাও মাঝেমধ্যে রাগান্বিত হয়। কিন্তু, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন ব্যতিক্রম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর জীবনে একবারও নিজের রাগের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারাননি; তাঁর পরিবারের সাথে হোক বা সাহাবীদের সাথে হোক।

হ্যাঁ, তিনি রাগান্বিত হয়েছেন। কিন্তু, তাঁর রাগ তাঁর নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি। সাহাবীরা তাঁর চেহারা দেখে বুঝতে পারতেন যে, তিনি রাগ করেছেন; কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোনো কাজের মধ্যে তাঁর রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতেন না।

আমাদের মধ্যে অনেকেই রাগান্বিত হলে মোবাইল ছুঁড়ে ফেলে, প্লেট-গ্লাস ভেঙ্গে ফেলে। কিন্তু, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমনটা করতেন না।

একবার এক সাহাবী বুঝতে পারেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর ওপর রাগ করেছেন। তিনি দেখতে পান রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাসির মাধ্যমে তাঁর রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটান। তিনি হাসছেন, কিন্তু সেই হাসির মধ্যে রাগ মিশ্রিত ছিলো।

আপনি বলতে পারেন যে, ‘আমি বদমেজাজী। আমার রাগ হলে আমি রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। আমার কী করার আছে!’

হ্যাঁ, এটা ঠিক যে একেক মানুষ একেক মেজাজের অধিকারী। যেমন ধরুন, আবু বকর ও উমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমা। তারা ছিলেন দুই প্রকৃতির। একজন ঠাণ্ডা মেজাজের, একজন গরম মেজাজের।

তারপরও দেখা যায় আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু মাঝেমধ্যে রাগান্বিত হতেন। হুদাইবিয়ার সন্ধির সময় আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু উমর রাদিয়াল্লাহু আনহুর চেয়েও বেশি রাগান্বিত ছিলেন। অন্যদিকে খলিফা হবার আগের উমর এবং খলিফা হবার পরের উমর ছিলেন একেবারে ব্যতিক্রম। খলিফা হবার পর তিনি আগের মতো কঠোর ছিলেন না, তিনি তাঁর রাগ নিয়ন্ত্রণ করেন।

যারা বলে, ‘আমি গরম মেজাজের, রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না’ তাদের জন্য উমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। যারা এমনিতে ঠাণ্ডা মেজাজের, আর যারা নিজেরা অনেক চেষ্টা-সাধনার পর ঠাণ্ডা মেজাজের হয়েছেন, দুজনের সওয়াব কিন্তু সমান হবে না। যিনি প্রচেষ্টার মাধ্যমে তার মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করেছেন, তিনি বেশি সওয়াব পাবেন।

এখন প্রশ্ন হলো, কিভাবে আমরা রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি?

দু’আ করা:

দুজন সাহাবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সামনে রাগান্বিত হলেন। একজন আরেকজনকে গালাগালি করলেন। রাগের আতিশায্যে একজনের চেহারা তো টগবগে লাল হয়ে গিয়েছিলো, রগগুলো ফুলে উঠেছিলো।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন বললেন, “আমি এমন একটা দু’আ জানি, যেটা পড়লে রাগ দূর হয়ে যাবে।”

দু’আটি কী?

দু’আটি হলো-

‘আ’উযুবিল্লাহি মিনাশ শাইত্বয়ান’।
[সহীহ বুখারী: ৩২৮২]

এটা হলো রাগ কমানোর দু’আ। কেউ যদি রাগের মধ্যে এই দু’আটি পড়ে, আল্লাহ তার রাগ কমিয়ে দিবেন।

এই রাগের কারণে অনেক সম্পর্ক নষ্ট হয়, স্বামী-স্ত্রী, বন্ধু-বান্ধব, চাচা-ভাতিজার মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়ন দেখা দেয়। আমরা যদি রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, তাহলে এমনটা হবে না।

ওজু করা:

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:

“রাগ আসে শয়তান থেকে। শয়তানকে আগুন থেকে তৈরি করা হয়েছে। অতএব, তোমাদের কারো রাগ হলে সে যেনো ওজু করে নেয়।”
[সুনানে আবু দাউদ: ৪৭৮৪]

কাজ কমিয়ে দেয়া:

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:

“তোমাদের কেউ যদি দাঁড়ানো অবস্থায় রাগান্বিত হয়, সে যেনো বসে পড়ে। এতে যদি তার রাগ কমে, তাহলে তো ভালো; অন্যথায় সে যেনো শুয়ে পড়ে।”
[সুনানে আবু দাউদ: ৪৭৮২]

নিরবতা অবলম্বন:

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:

“তোমাদের মধ্যে কেউ রাগান্বিত হলে সে যেনো নীরবতা অবলম্বন করে।”
[ইমাম বুখারী, আদাবুল মুফরাদ: ২৪৪]

সুন্নাহর আলোকে রাগ নিয়ন্ত্রণের এই চারটি পদ্ধতি পাওয়া যায়। সাইকলজিস্টরা আরেকটি পদ্ধতির কথা বলেন। সেটা হলো- কোন কাজটির ফলে আপনি রাগান্বিত হতেন, সেটা উপলব্ধি করা। যে কাজটির ফলে আপনি রাগান্বিত হন, সেটা কমিয়ে দেয়া বা না করা।

মনে করুন, ফেসবুকে কারো পোস্ট পড়লে আপনার রাগ উঠে। যতোবার তার পোস্ট চোখের সামনে আসে, ততোবার আপনি রাগে ফুসফুস করেন। এক্ষেত্রে আপনার কাজ হলো সেই ব্যক্তিকে ‘আনফলো’ করা। তার পোস্ট পড়ার দরকার কী বা তার ভিডিও দেখার দরকার কী?

আপনি যখন রাগান্বিত হবেন, তখন কিছুক্ষণ কথা বলা বা কাউকে রিপ্লাই দেয়া বাদ দিন। যখন রাগ কমবে, তখন কথা বলুন বা ফেসবুকে কমেন্ট-রিপ্লাই দিন।

রাগ আমাদের অনেক শারীরিক সমস্যার কারণ। যেমন: উচ্চ রক্তচাপের অন্যতম কারণ হলো রাগ। কেউ আপনাকে কিছু বললে তার মুখ থামাতে পারবেন না। কিন্তু, তার উপর আপনি রাগ করবেন নাকি ক্ষমা করে দিবেন সেটা চাইলে করতে পারেন। সেটা আপনার নিয়ন্ত্রণে।

সাইকোলজিস্টরা বলেন, বেশিরভাগ রাগের অন্যতম কারণ হলো আমাদের ইগো। আপনি রাগ করেন কেনো? কারণ, আপনি মনে করেন যে, আপনার মর্যাদা হানিকর কোনো কথা বলা হয়েছে বা কোনো কাজ করা হয়েছে। আপনি যদি নিজেকে ছোটো করে দেখা শুরু করেন, বিনয়ী হন, উদারতা দেখান, দেখবেন রাগ করার মতো কারণ কমে আসবে।

আপনি যদি বিনয়ী হন, কেউ যদি আপনাকে কোনো কথা বলে, আপনি নিজেকে সংযত রাখতে পারবেন।

একবার এক ভরা মজলিশে একজন উঠে জিজ্ঞেস করলো- “আপনিই কি শাফে’ঈ?” ইমাম শাফে’ঈ রাহিমাহুল্লাহ হ্যাঁ বললে লোকটি বলে উঠলো- “তুমি একজন নিকৃষ্ট পাপী।”

ইমাম শাফে’ঈ তৎক্ষণাৎ দু’আ করলে:

“ইয়া আল্লাহ! লোকটি যা বললো তা যদি সত্যি হয় তাহলে আমাকে ক্ষমা করুন। আর যা বললো তা যদি মিথ্যে হয় তাহলে মিথ্যে বলার জন্য তাকেও ক্ষমা করুন।”

আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন:

“যদি কোনো মানুষকে যাচাই করতে হয়, সে যখন শান্ত থাকে তখন যাচাই করো না। বরং সে যখন রাগান্বিত হয়, তখন তাকে যাচাই করো।”

অর্থাৎ, একজন রাগান্বিত মানুষের আচরণ বলে দেয় সে কেমন মানুষ, তার মধ্যে নীতি-নৈতিকতাবোধ কেমন। ঠাণ্ডা মাথায় আপনি নীটি-নৈতিকতা, আদব-আখলাক শিখলেন। কিন্তু, এগুলো যখন প্রয়োগ করার সময় আসে, তখন যদি আপনি উত্তেজিত হয়ে অনৈতিক কাজ করেন, বেয়াদবি কাজ করেন, তাহলে মুখস্থ নীতি-নৈতিকতা শিখে তো আপনার কোনো লাভ হলো না।

লিখেছেন

আরিফুল ইসলাম (আরিফ)

পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার কলম তাকে উজ্জীবিত করেছে স্বীয় বিশ্বাসের প্রাণশক্তি থেকে।
অনলাইন এক্টিভিস্ট, ভালোবাসেন সত্য উন্মোচন করতে এবং উন্মোচিত সত্যকে মানুষের কাছে তুলে ধরতে।

লেখকের অন্যান্য সকল পোষ্ট পেতে ঘুরে আসুন

পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার কলম তাকে উজ্জীবিত করেছে স্বীয় বিশ্বাসের প্রাণশক্তি থেকে।
অনলাইন এক্টিভিস্ট, ভালোবাসেন সত্য উন্মোচন করতে এবং উন্মোচিত সত্যকে মানুষের কাছে তুলে ধরতে।

Exit mobile version