Writing

সালাত ও হিসাব

সালাত শেষ হলেই গতানুগতিক নিয়মে জায়নামাজ থেকে উঠে না গিয়ে একটু বসুন।
মাথা নত করে, বিনীতভাবে আঙুলে হিসেব করে করে ‘সুবহানাল্লাহ‘, ‘আলহামদুলিল্লাহ‘, ‘আল্লাহু আকবর‘ পড়ুন আর ভাবুন—

কিয়ামতের ময়দানে আপনার প্রাণপ্রিয় স্বামী/স্ত্রী কিংবা বাবা/মা কেউ যখন চিনবে না তখন “এই মুহূর্তের” হাতে গোনা তসবিহ আপনার সঙ্গী হবে।

তসবিহ গোনা শেষ?
এবার রবের আপনাকে দেয়া গোপন নিয়ামাহ যা সম্পর্কে আর কেউ জানে না তা স্মরণ করে মন থেকে বলুন, ‘আলহামদুলিল্লাহ’।

এবার জায়নামাজ থেকে উঠার পূর্বে কেবল বলুন, ‘পরের ওয়াক্ত পড়ার তৌফিক দিও, আচ্ছা?’

[বোনাস]: যদি সময় থাকে তবে কুরআন পড়ুন। একটা সূরা কিংবা একটা পাতা….

সালাতে নিয়মিত হতে না পারার অন্যতম কারণ সালাতকে ভালো না বাসা! ভালোবাসার জন্য তো ‘সময়’ প্রয়োজন, ‘কথা বলা’ প্রয়োজন, দেহ-মনের পরিপূর্ণ ‘স্থিরতা’ আর ‘মনোযোগ’ প্রয়োজন। সালাত শেষে দৈনিক কিছুটা সময় নিজেকে দিন, সালাত শেষে সিজদাহ করুন আর সেখানে মন খুলে সমস্যাগুলো বলুন।

সালাত শেষ করেই ফোন নিয়ে নোটিফিকেশন চেক আর কত! আদতে মানসিক শান্তি কেড়ে নেবার বিপরীতে কী দিয়েছে এই সোশ্যাল মিডিয়া?
সুন্দরী রমনীদের এক ঝলক অথবা শাশুড়ী-বউয়ের মধ্যে কে বেশি দাজ্জাল ইত্যাদি ফ্লেভার মিশ্রিত অন্যের জীবনের রঙঢঙ কতই বা দেখবেন?
একটু কি নিজের উপর, নিজের ইমান-আমলের উপর কাজ করা প্রয়োজন মনে হয় না?

ফিরতে হবে! মানুন বা না মানুন আজ যাকে পাত্তা দিচ্ছেন না তাঁর কাছেই ফিরে যেতে হবে। যৌবনের এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে কী করেছেন আর সময় কোন কাজে ব্যয় করেছে অবশ্যই হিসাব দিতে হবে!

দ্বিতীয় কোনো পথ নেই…

[elementor-template id=”6810″]

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button