অমুসলিমদের বিয়েতে খাবার খাওয়ার শরীয়তের বিধান কি

হিন্দু বন্ধু তার বিয়ের দাওয়াত দিছে, বিয়েতে খাবার খাওয়ায় শরীয়তী বিধান কি?
তাদের দাওয়াত গ্রহণ করাও জায়েজ, তবে শর্ত হলো তাদের প্রদান করা খাবারের মাঝে কোনো হারাম বা সন্দেহযুক্ত বস্তু থাকতে পারবে না। অমুসলিমদের সাধারণ দাওয়াত এবং ওই দাওয়াত যার সঙ্গে তাদের ধর্মীয় রীতিনীতি জড়িত থাকে–উভয়টি এক নয়। তাদের সাধারণ দাওয়াতে অংশগ্রহণ করলে যদি নিজের ঈমান-আমলের ক্ষতি হবার আশঙ্কা না থাকে তাহলে অংশগ্রহণ করা জায়েয। আর ঈমান-আমলের ক্ষতি হবার আশঙ্কা থাকলে অংশগ্রহণ করা না-জায়েয।

পক্ষান্তরে ওই দাওয়াত যে জাতীয় দাওয়াতের সঙ্গে তাদের ধর্মীয় রীতিনীতি জড়িত থাকে, যেহেতু এ জাতীয় দাওয়াতে অংশগ্রহণ করলে নিজের ঈমান-আমলের ক্ষতি হবার আশঙ্কাই প্রবল থাকে সেহেতু এজাতীয় দাওয়াতে অংশগ্রহণ করা সর্বাবস্থায় হারাম

ইবনুল কাইয়িম রহ. বলেন,

ولا يجوز للمسلمين حضور أعياد المشركين باتفاق أهل العلم الذين هم أهله . وقد صرح به الفقهاء من أتباع المذاهب الأربعة في كتبهم . . . وروى البيهقي بإسناد صحيح عن عمر بن الخطاب رضي الله عنه أنه قال : (لا تدخلوا على المشركين في كنائسهم يوم عيدهم فإن السخطة تنزل عليهم) . وقال عمر أيضاً : (اجتنبوا أعداء الله في أعيادهم . )

যারা বাস্তবেই আলেম তাঁরা সকলেই এব্যাপারে একমত যে, মুসলিমদের জন্য মুশরিকদের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা মোটেই জায়েয নেই। এবিষয়ে চার মাযহাবের ফকিহগণই তাঁদের কিতাবাদিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন। তাছাড়া ইমাম বাইহাকি রহ. সহিহ সনদে উমর রাযি. বর্ণনা করেছেন যে, ‘মুশরিকদের অনুষ্ঠানের দিন তাদের উপাসনালয়গুলোতে প্রবেশ করো না। কেননা, ওই সময় তাদের উপর আল্লাহর গজব নাযিল হয়।’ উমর রাযি. আরো বলেন, আল্লাহর দুশমনদের থেকে তাদের অনুষ্ঠানের দিন দূরে থাকবে। (আহকামুযযিম্মাহ ১/৭২৩)

সুতরাং একজন মুসলিম হিসেবে উচিত, অমুসলিমদের বিয়ের অনুষ্ঠান, পূজার অনুষ্ঠানসহ যেকোনো অনুষ্ঠানে কোনোভাবেই অংশগ্রহণ না করা।

লিখেছেন

আমির হামজা সিদ্দিক​

রাসুল সা: বলেছেন ,ভালো কথাও একটি সদকাহ (আল হাদিস)

লেখকের অন্যান্য সকল পোষ্ট পেতে ঘুরে আসুন

আমির হামজা সিদ্দিক

রাসুল সা: বলেছেন ,ভালো কথাও একটি সদকাহ (আল হাদিস)

Exit mobile version