মাগরিবের আযানের ১০ মিনিট আগে আসরের নামাজ পড়তে পারবো কি না

মাগরিবের আযানের ১০/১৫ মিনিট আগে আসরের নামাজ পড়তে পারবো কি না?
কেননা এই সময় সূর্য ডুবতে থাকে। আমি জানি যে, সূর্য ডুবার সময় নামাজ পড়া যায় না।
মাগরিব আযানের ১০/১৫ মিনিট আগে পরিপূর্ণভাবে সূর্য ডোবা বাকি থাকে। সুতরাং কোন ওজর বশত: আসর সালাত পড়তে বিলম্ব হয়ে গেলে সে সময় আদায় করলেও সালাত শুদ্ধ হবে ইনশাআল্লাহ।

কেউ যদি সূর্য ডুবার পূর্বে আসরের এক রাকাআত অথবা সূর্য উঠার আগে ফজরের এক রাকাআত ও পড়তে পারে তাহলে সে যেন পূর্ণ সালাত পেল। অর্থাৎ যে যেন যথাসময়েই সালাত আদায় করল। এটি পূনরায় কাযা করার প্রয়োজন নাই।

আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:

مَنْ أَدْرَكَ رَكْعَةً مِنَ الصَّلاَةِ فَقَدْ أَدْرَكَ الصَّلاَةَ
“যে ব্যক্তি এক রাক‘আত সালাত পেলো সে যেন পুরো সালাতই পেয়ে গেলো।”
(সহীহ বুখারী ও মুসলিম)

এমনকি ভুলে যাওয়ার কারণে অথবা ঘুমের কারণে আসর সালাত (অথবা যে কোন ওয়াক্তের সালাত) ছুটে গেলে যখন স্মরণ আসবে বা যখনই ঘুম থেকে জাগ্রত হবে সাথে সাথে ত্বাহারাত অর্জন করে তা আদায় করে নিতে হবে যদিও তা নিষিদ্ধ সময় হয়। নিষিদ্ধ সময়ে কেবল নফল সালাত আদায় করা নিষেধ। কাযা নামায পড়া নিষিদ্ধ নয়। কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,

مَنْ نَسِيَ صَلَاةً أَوْ نَامَ عَنْهَا فَكَفَّارَتُهَا أَنْ يُصَلِّيَهَا إِذَا ذَكَرَهَا
“যে ব্যক্তি সালাত আদায় না করে ঘুমিয়ে পড়ে অথবা ভুলে যায়, সে যেন তা আদায় করে যখনই স্মরণ হবে।”
(সহীহ মুসলিম)

এখানে বলা হয়েছে, যখনই স্মরণ হবে তখনই তা আদায় করে নিবে। এখানে বিলম্ব করার অনুমতি দেয়া হয় নি। আর এটা যেহেতু তার স্কন্ধে অর্পিত দায়িত্ব সেহেতেু যতক্ষণ তা আদায় না করা হবে ততক্ষণ দায়িত্ব থেকে মুক্তি পাবে না। বিলম্ব করতে গিয়ে যদি সালাত আদায় করার পূর্বেই সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে তাহলে কাজা নামায কাঁধে নিয়েই সে মৃত্যু বরণ করল। আল্লাহ ক্ষমা করুন। তাই অনতিবিলম্বে তা আদায় করতে হবে যদিও তা নিষিদ্ধ সময়ে হয়।

Exit mobile version