তৎকালীন জীবিত সাহাবীদের মধ্যে ছিলেন উসমান, আলী, আব্দুর রহমান ইবনে আউফ, সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস, তালহা, জুবাইর রাদিয়াল্লাহু আনহুম। সবাই আশআরায়ে মুবাশশারা।
স্বাভাবিকভাবে মনে হতে পারে তাঁদের কেউই হয়তো জানাযা পড়াবেন।
কিন্তু, বিচক্ষণ উমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু অসিয়ত করে যান, তাঁর জানাযা যেন পড়ান সুহাইব আর রুমী রাদিয়াল্লাহু আনহু।
সুহাইব ছিলেন একজন শাসকের ছেলে। ছোটোবেলায় তাকে কিডন্যাপ করে দাস হিসেবে বিক্রি করা হয়। রোমান সাম্রাজ্যে শৈশব কাটে দাস হিসেবে। একসময় পালিয়ে চলে আসেন মক্কায়। সাহাবী হবার সৌভাগ্য অর্জন করেন।
উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু সুহাইব আর রুমীকে এই দায়িত্ব দেবার অন্যতম প্রজ্ঞা ছিলো, ৬ জন খিলাফতের ক্যান্ডিডেটের মধ্যে কেউ যদি পূর্বের খলিফার জানাযা পড়ান, তাহলে খলিফা হবার দৌড়ে তার প্রতি মানুষের একধরনের ঝোঁক তৈরি হবে।
সুহাইব আর রুমী রাদিয়াল্লাহু আনহু শুধু খলিফা উমরের জানাযা পড়াননি, পরবর্তী খলিফা নিয়োগের আগ পর্যন্ত তিনি ছিলেন ‘ভারপ্রাপ্ত খলিফা’। অর্থাৎ, নামাজ পড়ানো থেকে শুরু করে খলিফা যেসব দায়িত্ব পালন করেন, তিনি ঐসময় সেই দায়িত্ব পালন করেন।
(ড. আলী মুহাম্মদ সাল্লাবী, উমর ইবনুল খাত্তাব: ২/৫২৩)