জ্বীন যারা আছে তারা কিন্তু উপরের যে উদ্ধাকাশ সেইটার খবর নেওয়ার জন্য তারা খুব খোচর মোচর করে, তার মানে ওদের খুব ইচ্ছা যে উপরে কি খবরা খবর হচ্ছে সেইটা জানতে চায়।
তো এদের খবর যাতে এরা সহজে না নিতে পারে এজন্য উপরে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স আছে, কেউ যদি মানে ভিতরের কোন খবর শুনে যখনই হচ্ছে যে পৃথিবীর দিকে আসতে থাকে, জিনেরা তখন উপর থেকে উল্কাপিণ্ড তাদেরকে অ্যাটাক করে, কোরআনের কথা বলতেছি তার মানে উর্ধাকাশে যেইখানে একদম হচ্ছে যে আমাদের এই মানুষজন সবকিছু নিয়ে হচ্ছে যে বিভিন্ন হচ্ছে যে তথ্য উপরে হেড অফিসে থাকে ওই তথ্য হচ্ছে জিনরা শুনতে চায় এবং মানুষের মধ্যে কিছু কিছু মানুষ আছে এরকম দুষ্ট জিনের সাহায্য নিতে চায়।
তো জিনদের দিয়ে কিন্তু কোরআনে ৭২ নাম্বার একটা সূরা আছে সূরা জিন। তো সেইখানে আমরা জানি যে জিনদের একটা দল আল্লাহর নবীর যে কোরআন সেই কোরআনের পাঠ শুনে তারা হচ্ছে বলছে যে কি আশ্চর্য গ্রন্থ, তখন তারা ইসলাম কবুল করে ফেলে এবং জিনরা আগে মনে করতো যে মানুষ এবং জিন এরা কখনো কোন মিথ্যা বলবে না ওরা মনে করতো, কিন্তু জিনদের মধ্যে যে সবচেয়ে বড়, মানে সবচেয়ে জ্ঞানী ছিল, তার নাম ছিল ইবলিশ।
সে কিন্তু একদম বলা যেতে পারে উপরে ফেরেশতাদের সাথে থাকতো, কিন্তু অহংকারী হয়ে গেল ঠিক না, আদমকে সেজদা করতে বলল আল্লাহ, ইবলিশ বলতেছে না আমি তো আগুন থেকে তৈরি, আমি কেন মাটিকে সেজদা করবো?
আল্লাহ বলছে তুমি পাপিষ্ঠ হয়ে গেছো, তুমি অহংকারী হয়েছো, এখান থেকে চলে যাও।
এইতো তারপরে মানুষ আর হচ্ছে যে এই যে জিনদের যে গ্রুপ ওই হচ্ছে ইবলিশ ওদের অনুসারীরা একসাথে মানুষকে খারাপ রাস্তায় নেওয়ার জন্য একেবারে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে, প্রশ্ন হলো যে আল্লাহ বারবার জ্বীন এবং মানুষকে একসাথে তৈরি করছেন বলতেছে, মানে ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু জিনকে আমরা দেখতে পাই না কেন?
কারণটা কি?
কারণটা হচ্ছে আমরা কি দেখতে পাবো সেইটার একটা ক্যালকুলেশন, আমাদের চোখের রেটিনার মধ্যে আছে সেইটা হচ্ছে, প্রত্যেকটা জিনিসের একটা তরঙ্গ দৈর্ঘ্য আছে সেটা হচ্ছে 400 থেকে 700 ন্যানোমিটার, তরঙ্গ দৈর্ঘ্য যদি 400 থেকে 700 ন্যানোমিটার এর মধ্যে হয় সেটা আমরা দেখতে পাবো, আমাদের চোখ ওইটা দেখতে পাবে, না হইলে পারবে না।
এটার একটা এক্সাম্পল দেই তাহলে বুঝতে পারবো, আমরা দেখি না অনেক সময় যে কিছু শেফার্ড একেবারে খুব দামি কুত্তা থাকে, শিকারী ওরা হচ্ছে যে এই যে একটা স্মেল একটা হচ্ছে যে মুখের মধ্যে একটা গন্ধ দিল ওই গন্ধটা যে যে জায়গায় যাচ্ছে ওরা ওই গন্ধের অনুসরণ করে করে দৌড়াচ্ছে, মানুষ পারে না কেন?
কারণ ওদের হচ্ছে গন্ধের নেওয়ার মানে হচ্ছে ধারণ করতে পারার গন্ধকে ট্রেস করতে পারার যে ক্যাপাসিটি এটা মানুষের চেয়ে বহু বেশি, আবার আমরা জানি যে অনেকের হচ্ছে যে শোনার যে দক্ষতা, আমরা কিন্তু সব শব্দ শুনতে পারি না, কারণ আমাদের শোনার একটা নির্দিষ্ট ক্যাপাসিটি আছে, তার চেয়ে কম হলে শুনতে পাবো না, তার চেয়ে বেশি হইতে পারবো না, ঠিক তেমনি করে আমাদের দেখারও একটা ক্যাপাসিটি আছে, যেটাকে বলে হচ্ছে মানে হচ্ছে দৃশ্যমান আলো, তার মানে যেইটার মধ্যে তরঙ্গ দৈর্ঘ্য থাকলে পরে আমি ওই জিনিসটা দেখতে পাবো।
এখন অনেকের মাথায় প্রশ্ন আসবে ভাই আমরা আসলে দেখি কত পারসেন্ট?
আইডিয়া করলে খুব অবাক হব কত পারসেন্ট হইতে পারে, ১০০ এর মধ্যে কি ৫০ দেখতে পারি আমরা ৪০, ৩০, ২০, ১০, ৫ নো মাত্র ৪% আমরা দেখতে পারি।
তার মানে মহাবিশ্বের যেটা সৃষ্টি তার মাত্র মাত্র ৪% যে ভাই আপনি কি বলেন মাত্র চার, ১০ ও না ৯৬% আমরা দেখতে পাই না।
তাইলে ভাই ওগুলার মধ্যে আছে কি?
ওগুলার মধ্যে দুইটা জিনিস আছে, একটা হচ্ছে ডার্ক ম্যাটার, আরেকটা হচ্ছে ডার্ক এনার্জি, নাম শুনে মনে হচ্ছে না যে ভাই এটা আবার কি জিনিস ডার্ক এনার্জি, এই যে মহাবিশ্ব আছে না আল্লাহ যে বানাইছে প্রতি মুহূর্তে প্রসারিত হচ্ছে, প্রতি মুহূর্তে বড় হচ্ছে, এক্সাম্পল দেই এই যে আমরা ছোট্টবেলায় রুটি খাইতাম না, রুটির খামার বানাইতাম না, এক জায়গায় একটু রাখতাম, তারপর এটাকে রুটিটাকে বেলার পরে একটু ওভেনের মধ্যে দিলাম বা একটু হচ্ছে যে হিট দিলাম তাওয়ার মধ্যে, দেখা যাচ্ছে রুটিটা বড় হয়ে গেল, মানে ছোট্ট খামির থেকে বড় হয়ে গেল, এরকম মহাবিশ্বটা যে আছে প্রতি মুহূর্তে এরকম করে ছোট্ট খামির থেকে যখন বড় রুটি হচ্ছে, এরকম মহাবিশ্বটা প্রতি মুহূর্তে প্রসারিত হচ্ছে, প্রতি মুহূর্তে, এবং শুনলে অবাক হব আলো যে আছে না এক সেকেন্ডে তিন লাখ কিলোমিটার দৌড়ায়, মহাবিশ্বের মধ্যে যেটা হচ্ছে যত দূরে অবস্থিত, দেখা গেল যে এমনও আছে যেটা হচ্ছে এখান থেকে ধরা যাক যে 15 বিলিয়ন 16 বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত।
সেটা প্রতি সেকেন্ডে তিন লাখ কিলোমিটার এর চাইতে বেশি বেগে প্রসারিত হচ্ছে, মানে একটা রুটি যেমন এখান থেকে একটু বড় হয় না, এটা প্রতি সেকেন্ডে মহাবিশ্বটা এরকম করে প্রসারিত হয়ে যাচ্ছে এবং আল্লাহ কিন্তু বলছে যে মহাবিশ্ব প্রতি মুহূর্তে প্রসারিত হচ্ছে।
আরেকটা ইন্টারেস্টিং জিনিস যেটা আছে সেটা হচ্ছে যে তাইলে এই যে অনেক সময় আবার অনেকে বলে যে ভাই এই যে জিন যে আছে কেউ হঠাৎ নাকি দেখছে এটা কিভাবে সম্ভব?
হ্যাঁ জিন ওর যে হচ্ছে যে ওই তরঙ্গ দৈর্ঘ্য, এই তরঙ্গ দৈর্ঘ্যটা কোন কারণে যদি ৪০০ থেকে ৭০০ ন্যানোমিটার এর মধ্যে আসে তাইলে আমরা দেখতে পাবো, কিন্তু যদি এর চেয়ে বেশি বা কম হয় তাহলে আমরা দেখতে পাবো না, এবং এরকম যে ভাইয়া পৃথিবীতে কোন রিয়েল এক্সাম্পল আছে যেটা দিয়ে আমরা বুঝতে পারবো যে এরকম জিনিস আছে কিন্তু আমরা দেখতে পারি না।
আছে যেমন কেউ যদি বাসার মধ্যে টিভির ডিশের লাইন আছে হঠাৎ করে ডিশ চলে গেছে, তখন দেখা যায় না টিভি খুললে পরে একটা ঝিরঝির ঝিরঝির শব্দ হয়, ওই ঝির ঝির যে শব্দটা হয় ওইটা হয় মূলত বেতার তরঙ্গের কারণে, কি তরঙ্গ?
বেতার তরঙ্গ, এই বেতার তরঙ্গের যে তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সেটা কিন্তু ৭০০ এর চাইতে অনেক বেশি, তার মানে ৪০০ থেকে ৭০০ এর মধ্যে হলে আমরা দেখতে পাবো যদি আমরা ৭০০ এর অনেক