হায়েজ ও নেফাসের সময় বিবাহের হুকুম কি

মাসিক বা পিরিয়ড সময় বিবাহের হুকুম কি?
ঋতুস্রাবের বা মাসিকের সময় কোন মেয়ের বিয়ে হলে সেই বিয়ে কি কবুল হবে?

হায়েজ বা মাসিকের সময় বিবাহ নিষিদ্ধ নয়। তবে এই বিষয়টি ব্যাখ্যা সাপেক্ষে। একজন মহিলার বিবাহ তার উপর নির্ভরশীল।
কারণ এখানে দুই ধরনের ঋতুমতী নারী হবে।

  1. একজন মহিলা তালাকের ইদ্দত পালন করছেন।
  2. যে মহিলারা অবিবাহিত বা যাদের ইদ্দত শেষ হয়ে গেছে।

১ম প্রকার নারীর বিধান

তালাকের পর হায়েজের মাধ্যমে ইদ্দতের সময় বিয়ে সম্পন্ন হলে বিয়ে শুদ্ধ হবে না। ইদ্দত শেষ হওয়ার পর বিয়ে করতে হবে।
কোনো নারীকে তালাক দিলে তাকে তিনটি মাসিক বা হায়েজ এর সময়কাল পালন করতে হবে। ইদ্দত শেষ হওয়ার আগে অন্যত্র বিয়ে করা বৈধ নয়। সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় বা তৃতীয় ঋতুকালে বা হায়েজ চলাকালীন তার বিবাহ শুদ্ধ হবে না।

وَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا عَرَّضْتُمْ بِهِ مِنْ خِطْبَةِ النِّسَاءِ أَوْ أَكْنَنْتُمْ فِي أَنْفُسِكُمْ عَلِمَ اللَّهُ أَنَّكُمْ سَتَذْكُرُونَهُنَّ وَلَكِنْ لَا تُوَاعِدُوهُنَّ سِرًّا إِلَّا أَنْ تَقُولُوا قَوْلًا مَعْرُوفًا وَلَا تَعْزِمُوا عُقْدَةَ النِّكَاحِ حَتَّى يَبْلُغَ الْكِتَابُ أَجَلَهُ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ يَعْلَمُ مَا فِي أَنْفُسِكُمْ فَاحْذَرُوهُ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ غَفُورٌ حَلِيمٌ
আর যদি তোমরা আকার ইঙ্গিতে সে নারীর বিয়ের পয়গাম দাও, কিংবা নিজেদের মনে গোপন রাখ, তবে তাতেও তোমাদের কোন পাপ নেই, আল্লাহ জানেন যে, তোমরা অবশ্যই সে নারীদের কথা উল্লেখ করবে। কিন্তু তাদের সাথে বিয়ে করার গোপন প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখো না। অবশ্য শরীয়তের নির্ধারিত প্রথা অনুযায়ী কোন কথা সাব্যস্ত করে নেবে। আর নির্ধারিত ইদ্দত সমাপ্তি পর্যায়ে না যাওয়া অবধি বিয়ে করার কোন ইচ্ছা করো না। আর একথা জেনে রেখো যে, তোমাদের মনে যে কথা রয়েছে, আল্লাহর তা জানা আছে। কাজেই তাঁকে ভয় করতে থাক। আর জেনে রেখো যে, আল্লাহ ক্ষমাকারী ও ধৈর্য্যশীল।
{সূরা বাকারা-২৩৫}

২য় প্রকার নারীর বিধান

এ ধরনের মহিলাদের বা নারীদের জন্য ঋতুস্রাব / মাসিক / হায়েজের বা নিফাসের সময় বিয়ে শুদ্ধ। কিন্তু সহবাস করা হারাম
কোনো মেয়ের বিয়ের তারিখ নির্ধারণের ক্ষেত্রে তার ঋতুস্রাবের বিষয়টি পরিবারের বড়দের বিবেচনায় নিতে হবে। স্বামী-স্ত্রীর প্রথম মিলন হওয়া উচিত বিড়ম্বনা মুক্ত।

والله اعلم بالصواب

Exit mobile version