হায়েজ অবস্থায় কোরআন পড়ার কি কোন সুযোগ আছে

হায়েজ অবস্থায় কোরআন মাজিদ পড়ার কি কোন সুযোগ আছে? আর কোরআন স্পর্শ ছাড়া শুধু তিলাওয়াত করা যে হারাম তার শশক্তিশালী দলিল দিলে ভালো হয়।
একজন হাফেজা যদি এই অবস্থায় কোরআন পড়া ৫/৬/৭ দিন অফ রাখে তাহলে তো অনেক পিছিয়ে পড়বে এবং পিছনের পড়াও ভুলে যাবে…..

মহিলাদের হায়েজ অবস্থায় কুরআন শরিফ স্পর্শ করা, তেলাওয়াত করা জায়েজ নেই। হায়েজ, নেফাস, গোসল ফরজ থাকা অবস্থায় কুরআনে কারীম পড়া হারাম

عن ابن عمر : عن النبي صلى الله عليه و سلم قال لا تقرأ الحائض ولا الجنب شيئا من القرآن (سنن الترمذى، ابواب الطهارات، باب ما جاء في الجنب والحائض : أنهما لا يقرأن القرآن، رقم الحديث-131
অনুবাদ-হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-ঋতুবতী মহিলা এবং গোসল ফরজ হওয়া ব্যক্তি কোরআন পড়বে না।

(সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-১৩১, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-৯৯১, মুসনাদুর রাবী, হাদীস নং-১১, মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১০৯০, মুসন্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-৩৮২৩)

হাদীস শরীফে হায়েজাহ মহিলার ক্ষেত্রে যেই নিষেধাজ্ঞা এসেছে, সেটা পড়া, তেলাওয়াত করা নিয়ে এবং যেহেতু পড়ার সম্পর্ক যবানের সাথে সম্পৃক্ত, তাই কেহ যদি এমতাবস্থায় মনে মনে কুরআন তেলাওয়াত করে, তাহলে তাকে তেলাওয়াত বলা যাবেনা।

হযরত আলী রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,

عن علي بن أبي طالب رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يعلمهم القرآن وكان لا يحجزه عن القرآن إلا الجنابة “
রাসূলুল্লাহ সাঃ লোকদিগকে কুরআন শিক্ষা দিতেন। জানাবত তথা সহবাস ও স্বপ্নদোষ পরবর্তী অপবিত্রতা ব্যতীত অন্যকোনো জিনিষ কুরআন শিক্ষা থেকে বাধা দিত না।

(সুনানু আবি-দাউদ-১/২৮১,সুনানু তিরমিযি-১৪৬,সুনানু নাসাঈ-১/১৪৪,সুনানু ইবনি মা’জা-১/২০৭মসনদে আহমদ-১/৮৪,সহীহ ইবনে খুযাইমাহ-১/১০৪)

লিখেছেন

আমির হামজা সিদ্দিক​

রাসুল সা: বলেছেন ,ভালো কথাও একটি সদকাহ (আল হাদিস)

লেখকের অন্যান্য সকল পোষ্ট পেতে ঘুরে আসুন

আমির হামজা সিদ্দিক

রাসুল সা: বলেছেন ,ভালো কথাও একটি সদকাহ (আল হাদিস)

Exit mobile version