এক হাদীস যেই মুহাদ্দিস লিখতেন ৫০ এরও বেশিবার!

হাদীস সংরক্ষণে মুহাদ্দিসদের ত্যাগ-তিতিক্ষা অবিস্মরণীয়। হাদীসে নববী সংকলনে তাঁদের অন্যতম পদক্ষেপ ছিলো লিখে রাখা। লিখে রাখার সঙ্গে মুখস্তের সম্পর্ক আধুনিক পণ্ডিতরাও স্বীকার করেন। এমনই এক মুহাদ্দিস হলেন ইমাম ইয়াহইয়া ইবনু মা’ঈন (১৫৮-২৩৩ হি) রহিমাহুল্লাহ, যিনি এক হাদীস ৫০ বার নয়, ৫০ এরও বেশি বার লিখতেন। তাঁর সমসাময়িক ইমাম হাফিয মুজাহিদ ইবনু মূসা (১৫৮-২৪৪ হি) রহিমাহুল্লাহ বলেন,

«كان يحيى بن معين يكتب الحديث نيفا وخمسين مرة»
“ইয়াহইয়া ইবনু মা’ঈন (রহিমাহুল্লাহ) এক হাদীস ৫০ এরও অধিকবার লিপিবদ্ধ করতেন।”
[তারীখু দিমাশ্‌ক, ইবনু আসাকির, ৬৫/১৪]

ইয়াহইয়া ইবনু মা’ঈন রহিমাহুল্লাহ নিজেই বলেন,

لو لم نكتب الحديث خمسين مرة ما عرفناه
“এক হাদীস যদি ৫০ বার না লিখি তাহলে সে হাদীস আমরা ভালোভাবে বুঝতে পারি না।”
[তারীখু দিমাশ্‌ক, ইবনু আসাকির, ৬৫/১৪]

ইবনু মা’ঈন রহিমাহুল্লাহ আরো বলেন,

«لو لم نكتب الحديث من ثلاثين وجهًا ما عقلناه»
“এক হাদীস ত্রিশ দিক (ভিন্ন ভিন্ন বর্ণনাকারীর ত্রিশ বর্ণনা) দিয়ে না লেখা অবধি আমরা তার গভীরে পৌঁছাতে পারি না।” [আল-কামাল ফী আসমায়ির রিজাল, আব্দুল গনী আল-মাক্বদিসী, ৯/৩৬৫]

লিখেছেন

তানবীর হাসান বিন আব্দুর রফীক

লেখক, খতীব, আলোচক
আল্লাহ মোদের বানিয়েছেন তাঁর চাওয়া মতো চলতেই।
দিবেন তিনি জান্নাত, যেথা পাবো সব কিছু চাইতেই।

লেখকের অন্যান্য সকল পোষ্ট পেতে ঘুরে আসুন
আল্লাহ মোদের বানিয়েছেন তাঁর চাওয়া মতো চলতেই।
দিবেন তিনি জান্নাত, যেথা পাবো সব কিছু চাইতেই।
Exit mobile version