Writing

সময় সুযোগ পেলে কবরস্থান থেকে ঘুরে আসবেন

রাসূল ﷺ বলেছেন, “তোমরা কবরস্হানে যাও কারণ, এটি তোমাদের আখিরাতের কথা মনে করিয়ে দেবে।”
(তিরমিজি:১০৫৪)

আমরা সবাই মারা যাব, সবাইকে কবরে থাকতে হবে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। আর কবরে যাওয়ার পর আমরা কেউই জানি না আমাদের কি অবস্থা হবে!
আমাদের আমলের হিশেবে আমাদের ফলাফল ভোগ করতে হবে পুনরুত্থান পর্যন্ত। আমাদের আমল ভালো হলে আমরা কবরে জান্নাতের নি’আমত ভোগ করবো। আবার আমাদের আমল খারাপ হলে জাহান্নামের কিছু শাস্তিও ভোগ করতে হবে।

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন মারা যায়, তখন সকাল-সন্ধ্যায় তার অবস্থানক্ষেত্র তাকে প্রদর্শন করা হয়। জান্নাতী হলে জান্নাতের এবং জাহান্নামী হলে জাহান্নামের। তাকে বলা হয়, এই হল তোমার থাকার জায়গা; যে পর্যন্ত না তোমাকে কিয়ামতে আল্লাহ পুনরুত্থিত করবেন।
(বুখারী:১৩৭৯, হাদীস সম্ভার:১৩৮৪)

আজ যারাই কবরে আছেন, তারা হয়তোবা হাহাকার করছেন!
নামাজের জন্যেও হতে পারে,
রোজা রাখেন নাই সেজন্যও হতে পারে,
জীবনে দান করেন নাই, সুদ খেয়েছেন, এসব কারনেও হতে পারে,
মিথ্যা, গীবত ইত্যাদি কারনেও হতে পারে।

ইবনু উসায়মিন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘যখন তোমার হৃদয় উদাসীন হয়ে যাবে এবং তোমার আত্মা দুনিয়ার জীবনে মিশে যাবে, তখন কবরের দিকে বের হয়ে যাও এবং সেই মানুষগুলোকে নিয়ে চিন্তা ভাবনা করো, যারা গতকালও তোমার মতই এই জমিনের উপর ছিলো।’
(শারহু রিয়াদিস সলিহিন: ৩/৪৭৩)

আমরা যারা জীবিত, আমাদের প্রত্যেকের কর্তব্য হলো –
প্রাণভরে দুয়া করা,
তাদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করা,
তাদের মুক্তির উদ্দেশ্যে দান করা,
মৃত্যুর পূর্বে তাদের কোন ওসিয়ত থাকলে তা যথাসম্ভব পূরণ করা।

ইমাম আহমাদ রাহিমাহুল্লাহকে এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করলো, ‘কীভাবে আমার অন্তর কোমল হবে?’ তিনি উত্তরে বলেন, ‘তুমি কবরস্থানে গমন করো।’
(ইমাম ইবনুল মুফলিহ, আল ফুরু: ৩/৩৪৬)

[elementor-template id=”8080″]

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button