রাগ নিয়ন্ত্রণের উপায় – পর্ব – ০১

“রাগ” বিষয়টা মানুষের স্বভাবজাত অভ্যাস। মনো বিজ্ঞানীগণ রাগকে মানবীয় আবেগ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। আনন্দ-বেদনা -হতাশার মতো রাগ ও একটি আবেগ। রাগ হওয়ার প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ নানা কারণ রয়েছে। কিছু রাগ ভালো আবার কিছু রাগ ভালো নয়। একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় রাগ মেনে নেওয়া গেলেও, মাত্রাবিহীন রাগ কোনোভাবেই কাম্য নয়।

কিন্তু, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমরা রাগের সময় পথচ্যুত হয়ে যাই। রাগের বশে এমন কিছু করে ফেলি যার জন্য ভবিষ্যতে অনেক মাশুল গুনতে হয়। তাই একজন মুসলিম হিসেবে রাগ নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি।

একবার এক ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাম এর কাছে এসে বলল, “হে রাসুল, আপনি আমাকে কিছু নসিহা করুন”। তখন তিনি বললেন “তুমি রাগ করো না “।
তখন ওই ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আরও কিছু নসিহা চাইলেন। কিন্তু তিনি প্রতিউত্তরে আবারও বললেন যে “তুমি রাগ করো না”।
[সহিহ বুখারি -৬১১৬]

এর থেকে বোঝা যায় যে রাগ নিয়ন্ত্রণ করা বা রাগ না করা অতীব জরুরী। চলুন, রাগ নিয়ন্ত্রণ করার কিছু ফর্মুলা জেনে আসা যাক।

ফর্মুলা ০১ঃ- আল্লাহ নিকট সাহায্য প্রার্থনা করা।
অনেক সময় দেখা যায়, বন্ধু-বান্ধবের সাথে কথা বলার সময় বা ভরা মজলিসে অন্যের কথায় আমাদের মনঃক্ষুন্ন হতে পারে। অন্যের কথা মেনে নিতে না পারা থেকেই তখন রাগ সৃষ্টি হয়। আর তখনই শয়তান তার কুপ্রবৃত্তির দ্বারা রাগের মাত্রা কে আরো বাড়িয়ে দেয়। তাই এ সময়ে আল্লাহর কাছে শয়তানের কুপ্রবৃত্তির হাত থেকে বাঁচার জন্য প্রার্থনা করতে হবে।

একদিন দুই ব্যক্তি নবী করিম (সা.)-এর কাছে বসে পরস্পর গালাগাল করছিল। তাদের একজনের চোখ লাল হয়ে উঠল ও গলার শিরা ফুলে গেল। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘আমি একটি বাক্য জানি, যদি সে তা পড়ে তবে তার এ অবস্থা কেটে যাবে। সে বাক্যটি হলো,

أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ
উচ্চারণ: ‘আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজীম।
অর্থঃ- আমি আল্লাহর কাছে অভিশপ্ত শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।’

খুব সহজ।
যখন রাগ উঠবে তখন এই ছোট বাক্যটি পড়বেন। দেখবেন,তখন রাগ অনেকটা কমে যাবে।
ইন শা আল্লাহ।

লিখেছেন

কিসের পিছনে ছুটছো তুমি?
দুই টাকার হাওয়াই-মিঠাইয়ের পিছনে?
যা কিনা মুখে দিলেই নাই হয়ে যায়।
আরে, আল্লাহ্‌র কাছেত এই দুনিয়া দুই টাকার
হাওয়াই-মিঠাইয়ের চেয়েও নগন্য।

Exit mobile version