Writing

যখন পুরুষ ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাও পর্দা কই থাকে?

ঠিকই তো বউ এর জন্য মেডিক্যালে মহিলা ডাক্তার খুঁজো! তাইলে ডাক্তারি পড়ার ব্যাপারে সংকীর্ণ কেনো?
যখন পুরুষ ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাও, তখন পর্দা কই থাকে?
এরকম অহরহ কিছু অভিযোগ করে থাকেন মুসলিম কিছু ভাই-বোনসহ অনেকেই। প্রথমত উনারা কন্সেপ্ট বোঝেননই নি ইসলাম কি বলে এই ব্যাপারে। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হলো, কোন মেয়ে যদি যথাযথ পর্দা মেইন্টেইন করে ডাক্তারি পড়তে পারে পড়ুক, শুধু ডাক্তারি কেনো কল্যাণকর যেকোনো কিছুই পড়ুক।

শর্ত হলো পর্দার বাধ্যবাধকতা। মানে শুধু শরীর ঢাকা না বরঞ্চ ফ্রি মিক্সিং এড়ানোসহ হারাম পরিবেশে না জড়ানো।
যেহেতু দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ঈমান ধরে রাখার মতো পরিবেশ বেশ কঠিন সেহেতু ফেত্না থেকে বাঁচতে আমরা বলি সম্ভব হলে এড়িয়ে যাওয়া।
তবে পর্দার শর্তাবলী পূরণ করে কেউ পড়তে পারলে কল্যাণকর ইনশা আল্লাহ।
এবার প্রশ্ন তুলে,তাইলে আমরা আমাদের মা-বোনকে পুরুষ ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই কেনো?
এসময় আমাদের পর্দা কই থাকে?

এত্ত লেইম প্র্শ্ন। প্রশ্নেই এই ব্যাপারে ইসলামিক জ্ঞানের দৈন্যতা প্রকাশ পায় প্রশ্নকারীর।
ইসলামী শরীয়তে “ওজর” খুব গুরুত্বপূর্ণ টার্ম। ওজর থাকলে এবং নিরুপায় হলে [এটিও ওজর] আপনি হারামও খেতে পারেন(সাধারণত)। তেমনি আমরা আগে মহিলা মুসলিম ডাক্তার খুঁজি আমাদের মা-বোনদের জন্য!
যদি না পাই তবে মহিলা অমুসলিম ডাক্তার খুঁজি!
যদি তাও না পাই তবেই পুরুষ মুসলিম ডাক্তার খুঁজি।

একান্ত নিরুপায় হলে তবেই পুরুষ অমুসলিম ডাক্তারের নিকট নিয়ে যায়।[এই ব্যাপারে ইসলাম কিউএর একটা ফতোয়া দেখে নিতে পারেন] এতে পর্দা লঙ্ঘন হয় না বরঞ্চ ওজরের কারণে যাওয়াটা জীবন বাঁচানোর তাগিদে ফরজই বলা যায়।
তাইলে এবার বলেন এখানে পর্দা লঙ্ঘন হলো কই?

যদি আমাদের অপশন না থাকে আমাদের যেতে আপত্তি নেই।কেউ যদি খোঁজ না নেই এভাবে তাহলে সেটা তার ব্যর্থতা।
আর মানুষ একটানা অনেকদিন ডাক্তারের কাছে পড়ে থাকে না।
কিন্তু বর্তমান জাহেল পরিবেশে ডাক্তারি (অন্য সেক্টরও) পড়ুয়াদের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ৩-৪-৫ বছর যাবৎ এর মধ্য দিয়ে যেতে হয়। কোনটি ভয়াবহ বেশি?

তার নিমিত্তেই আমরা বলে থাকি।
সো কল্ড ইসলামিক ফেমিনিষ্টদেরও উচিত ইসলাম নিয়ে পড়াশোনা করা।

আমরা আমাদের বোনদের, মেয়েদের ছবি দরকার হলে চোখ কেনো পুরো শরীরে আবার ব্লার করে দিবো। তাতে আপনাদের কি?
আপনাদের বোঝাতে চাই না, শুধু দুআ করে যাই। আপনারা একটু ভালোমতো অধ্যয়ন করুন ইসলাম নিয়ে। নিজের মতের চেয়ে প্রাধান্য দিন শরীয়াহকে। বাহ্যত আপনার ভালো না লাগলেও এতেই কল্যাণ। মহান রবের চেয়ে উত্তম কে জানে?


ঈমান মানে “শুনলাম” এবং “মানলাম”। বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত নির্দেশ অকপটে যুক্তি ব্যতিরেকে মানাই ঈমান।
ফিরে আসুন রবের তরে। নিজেকে নিয়ে ভাবুন। হুট করে মারা গেলেন এই মুহুর্তে কি জবাব দেবেন?

আমরা কি মেয়েদের আবদ্ধ করছি?

নাকি বর্তমান ফেত্নার যুগে তাদের বিধানের বয়ান করছি। আমরা সাবধান করছি আমাদের বোনদের। প্লিজ দাজ্জালের ফেত্না বড় ভয়াবহ।
কারো অন্ধভক্ত হওয়ার আগে বিবেচনা করুন।

আব্দুর রহমান

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Islami Lecture