নফল নামাজে কি উচ্চস্বরে কুরআন তিলাওয়াত করা যাবে

দিনের নফল নামাজের সময় নিচু স্বরে কোরাত পাঠ করা ওয়াজিব। তাই দিনের নফলের সময় উচ্চস্বরে কোরাত পড়লে সাহু সিজদা ওয়াজিব। আর ইচ্ছাকৃতভাবে পড়লে তা ওয়াজিব তরকের গুনাহ
অপরদিকে, রাতের নফল সালাত উচ্চস্বরে এবং মৃদুভাবে পড়া যায়। তাবিঈ হাকিম ইবন ই’কাল রহ. তিনি দিনের নামাজের সময় উচ্চস্বরে কেরাত পাঠ করতে নিষেধ করেছিলেন এবং বলেছিলেন,

يَرْفَعُ بِاللَّيْلِ إِنْ شَاءَ
রাতের নামাযে ইচ্ছে হলে উচ্চস্বরে পড়বে।
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৩৬৭১)

রাতের নফল নামাজে অন্তত এই পরিমাণ উচ্চস্বরে পাঠ করা উত্তম, যাতে আপনি স্পষ্টভাবে শুনতে পারেন।
হাসান বসরী রহ. বলেন,

صَلَاةُ النَّهَارِ عَجْمَاءُ، وَصَلَاةُ اللَّيْلِ تُسْمِعُ أُذُنَيْكَ
দিনের নামায নিম্নস্বরের এবং রাতের নামায তোমার কানকে শুনাবে।
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৩৬৬৪)

আলেমদের মতে, যে ফরজ নামাযে উচ্চস্বরে ক্বিরাআত পাঠ করা হয়, যদি সে ব্যাক্তি একা একা সালাত আদায় করে তাহলে তা নিচু আওয়াজে এবং উচ্চস্বরে উভয়ভাবেই পাঠ করা যায়। তবে জোরে পড়া ভালো।

-(বাদায়েউস সনায়ে ১/৩৯৬; ফাতহুল কাদীর ১/২৮৫; রদ্দুল মুহতার ১/৫৩৩)

তাই আলেমদের মতে মনোযোগ বাড়ানোর জন্য রাতে নফল নামাজে উচ্চস্বরে কেরাত পাঠ করা যাবে। আর দিনের বেলায় নফল নামায নিচু স্বরে কেরাত পড়তে হবে।

والله اعلم بالصواب

Exit mobile version