Writing

দেবর নাকি দ্বিতীয় বর?

বিশেষ করে গ্রাম গুলোতে অত্যন্ত বিশ্রী এবং নোংরা রসিকতা হয় দেবর-ভাবির মধ্যে। কিছু কিছু জায়গায় এসব মহিলারা তো নিজের হাসব্যান্ডের থেকেও দেবরকে নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকেন।
এর পেছনের কারণ কি?
কারণ অইতো ভাবি মায়ের মতো। তো ভাই, মায়ের মতো ভাবির সাথে এমন কুৎসিত রসিকতা করেন কিভাবে অথবা আপনার ভাবিই বা কি করে এমন নোংরা রসিকতায় মত্ত থাকে?

অনেকে বলেন ছোট বেলা থেকেই দেবরকে মানুষ করেছি। ও তো আমার ছেলের মতো। ওর সামনে আবার পর্দা কিসের?
আবার কিছু ফ্যামিলিতে দেবরের সাথে কথা না বললে তো চলেই না। কথা বলতে না চাইলে অনেক সময় স্বামীই ধমক দিয়ে বলে, আরেহ আমার ভাইয়ের সাথে কথা বলবা না মানে! এভাবে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় কথা শুরু হয় এবং কথাকে এগিয়ে নিতে সাহায্যকারী শয়তান তো আছেই।
এভাবে একসময় সংসার গুলো ভেঙে যায়।
তবে জিতে যায় শয়তান

হাদিসে আমরা স্পষ্ট দেখতে পাইঃ
উকবাহ্‌ ইবনু আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হুঁশিয়ার! (বেগানাহ) নারীদের নিকট তোমরা প্রবেশ করা পরিত্যাগ করো। সে সময় আনসারীদের এক লোক বলল- দেবর সম্পর্কে আপনার কি মতামত?
তিনি বললেন- দেবর তো মৃত্যু তুল্য।
(সহিহ মুসলিম, ৫৫৬৭)

আচ্ছা মৃত্যু যদি আমাদের ধারেকাছে আসে আমরা কি চাইবো না মৃত্যুর কাছ থেকে পালাতে? ছুঁটে বাঁচতে? তাইতো করি আমরা। মৃত্যুকে তো ভয় পাই আমরা। মৃত্যুকে যেমন আমরা ভয় পাই ঠিক তেমনই দেবরকে ভয় পাওয়া উচিত।

দেবরের সামনে পর্দা না করার ফল তো এখন গ্রামেগঞ্জে দেখাই যাচ্ছে। পরকিয়ায় ছেয়ে গেছে গ্রামগুলোও। একটা গ্রামে একশো পরিবার থাকলে প্রায় পঞ্চাশ টা পরিবারেই এ রোগ ছড়িয়ে পড়েছে।

কতো কতো সংসার যে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে এ কারনে। কতো কতো সন্তান যে বাবা-মা থেকেও এতিমের মতো মানুষ হচ্ছে।

তাই দেবরকে দ্বিতীয় বর না ভেবে মৃত্যুর মতো ভয় করুন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে বোঝার তাওফিক দিন।
আমীন।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Islami Lecture