জায়নামাজ এর দোয়া পড়া যাবে কি ?

জায়নামাজ এর দোয়া কোনটি ?

আমাদের সমাজে একটা কথা প্রচলিত আছে যে, জায়নামাজ প্রবিত্র করার একটা দোয়া রয়েছে। সেটা হল

اِنِّىْ وَجَّهْتُ وَجْهِىَ لِلَّذِىْ فَطَرَالسَّمَوَتِ وَاْلاَرْضَ حَنِيْفَاوَّمَااَنَا مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ
উচ্চারণঃ ইন্নি ওয়াজ্জাহাতু ওজহিয়া লিল্লাযী ফাতারাচ্ছামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানিফাঁও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন ।
অনুবাদ: নিশ্চই আমি তাঁহার দিকে মুখ ফিরাইলাম, যিনি আসমান জমিন সৃষ্টি করিয়াছেন । আমি মুশরিকদিগের দলভুক্ত নহি ।

আসলেই এটা কি জায়নামাজের দোয়া কিনা ?


এই আয়াতটাকে সামনে এনে আমাদেরকে বলা হয়েছে, অনেকেই বলে থাকি এই দোয়াটা জায়নামাজের দোয়া
প্রথম প্রশ্ন হল আসলেই এটা কি জায়নামাজের দোয়া কিনা ।
দ্বিতীয় প্রশ্ন হল এই আয়াতটাকে দোয়া হিসেবে বা ছানা হিসেবে পড়ার কথা অনেক আলেম বলে থাকেন এবং এটা কখন পড়ব।
এটা কি সলাতে দাড়ানোর পূর্বে পড়ব নাকি তাকবিরে তাহরীমার পড়ে পড়ব।

ইসলামের সবচেয় গুরুত্বপূর্ণ যে রুকন সলাত তার সাথে সংশ্লিষ্ট। আমাদের দেশে বহুল প্রচলিত এমনকি আমরা নিজেরাও বা সবাই ছোট সময়ে এই ভাবেই শিখেছি যে যখন সলাতে দাড়াব মুসাল্লায় যখন দাড়াব তখন এমনকি এটার নামও দেয়া হয়েছে দোয়ায়ে মুসাল্লা।
এই দোয়াটা পড়ি এবং এর পড়ে আমরা নিয়্যাত করে তাকবির তাহরীমা দিয়ে সলাত শুরু করি।

আসলে এটা সম্পূর্ণ হাদিসের বিপরীত।
এক কথায় বিদআত।

জায়নামাজের দোয়া পড়া যাবে কি ?


যেহেতু প্রিয় নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাতের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সব কিছু আমাদেরকে শিখিয়েছেন, আর আমরা সাহাবায়ে কেরাম এর মাধ্যমে এটা আমরা পেয়েছি । সেখানে এই রকম কোন নিয়্যত এর পূর্বে দাঁড়িয়ে এই
اِنِّىْ وَجَّهْتُ وَجْهِىَ لِلَّذِىْ فَطَرَالسَّمَوَتِ وَاْلاَرْضَ حَنِيْفَاوَّمَااَنَا مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ
দোয়া পড়া সম্পূর্ণ বিদআত ।

Exit mobile version