Writing

কুরআন বুঝা সহজ? না কঠিন?

আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করে মানব জাতিকে সঠিক পথ প্রদর্শনের জন্যে যুগে যুগে অসংখ্য নবী-রাসূল (আ.) প্রেরণ করেছেন। আদম আলাইহিস সালাম এর মাধ্যমে আল্লাহ তা’য়ালা নবীদের যে ধারা শুরু করেছেন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাধ্যমে নবী-রাসূলের সেই ধারার সমাপ্তি ঘটিয়েছেন। আর সর্বশেষ নবী ও রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি সর্বশেষ আসমানী পয়গাম হিসেবে অবতীর্ণ করেছেন মহাগ্রন্থ আল-কুরআনুল কারীম।

কুরআনকে আল্লাহ সহজভাবে বর্ণনা করেছেন

চলতে ফিরতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় অনেকেই বলে থাকেন- কুরআন বুঝা সহজ নয়, কারণ তা অস্পষ্ট; বিশেষ করে যারা জেনারেল শিক্ষায় শিক্ষিত তাদের জন্য তো কুরআন বুঝা একেবারেই অসম্ভব। কিছু ভাইদের এইরকম মন্তব্যের কারণে আমি একজন জেনারেল শিক্ষিত হয়ে কুরআনের এতদসংক্রান্ত আয়াতগুলো নিয়ে আজকের এই আয়োজন।

আসুন দেখি! এ ব্যাপারে কুরআন কী বলে?

“আর অবশ্যই আমি কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি উপদেশ গ্রহণের জন্য, তাই উপদেশ গ্রহণকারী কেউ আছে কি?”
[সূরা আল-ক্বামার, আয়াত : ১৭, ২২, ৩২, ৪০]

“(হে নবী) আসলে আমি তোমার ভাষায় একে (কুরআনকে) সহজ করে দিয়েছি, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।”
[সূরা আদ-দুখান, আয়াত : ৫৮]

“(হে নবী) আসলে আমি তোমার ভাষায় একে (কুরআনকে) সহজ করে দিয়েছি, যেন তুমি এর দ্বারা মুত্তাকীদেরকে সুসংবাদ দিতে পার আর এর দ্বারা বিবাদকারী ঝগড়াটে লোকদেরকে সতর্ক করতে পার।”
[ সূরা মারইয়াম, আয়াত : ৯৭ ]

কুরআনকে আল্লাহ সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছেন

“সুস্পষ্ট কিতাবের শপথ!”
[ আয-যুখরুফ, আয়াত : ২; সূরা আদ-দুখান, আয়াত : ২ ]

“আলিফ-লাম-রা-। এগুলো সুস্পষ্ট কিতাবের আয়াত।”
[ সূরা ইউসুফ, আয়াত : ১ ]

“এগুলো সুস্পষ্ট কিতাবের আয়াত।”
[সূরা আশ-শু‘আরা, আয়াত: ২; সূরা আল ক্বাসাস, আয়াত: ২ ]

“সুস্পষ্ট আরবী ভাষায়। আর নিশ্চয়ই তা রয়েছে পূর্ববর্তী কিতাবসমূহে।”
[ সূরা আশ-শু‘আরা, আয়াত : ১৯৫, ১৯৬ ]

“এভাবেই আল্লাহ তোমাদের জন্য আয়াতসমূহ স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা চিন্তা-ভাবনা কর।”
[ সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত : ২১৯, ২৬৬ ]

“এভাবেই আল্লাহ তাঁর আয়াতসমূহ মানুষের জন্য স্পষ্টরূপে বর্ণনা করেন, যাতে তারা তাকওয়া অবলম্বন করে।”
[সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত : ১৮৭]

“এভাবেই আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর আয়াতসমূহ স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা সঠিক পথ প্রাপ্ত হও।”
[ সূরা আলে-ইমরান, আয়াত : ১০৩ ]

“এভাবেই আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর আয়াতসমূহ স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা শোকর আদায় কর।”
[ সূরা আল-মায়িদাহ, আয়াত: ৮৯]
“এভাবেই আল্লাহ তোমাদের জন্য আয়াতসমূহ স্পষ্টভাবে বর্ণনা করছেন এবং আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়।”
[সূরা আন-নূর, আয়াত : ৫৮, ৫৯ ]
“আর আল্লাহ তোমাদের জন্য আয়াতসমূহ স্পষ্টভাবে বর্ণনা করছেন এবং আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়।”
[ সূরা আন-নূর, আয়াত : ১৮ ]
“আর মানুষের জন্য তাঁর আয়াতসমূহ স্পষ্টরূপে বর্ণনা করেন, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।”
[ সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত : ২২১ ]
“অবশ্যই আমি আয়াতসমূহ স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছি সেই লোকদের জন্য যারা দৃঢ় বিশ্বাস রাখে।”
[ সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত : ১১৮ ]

“নিশ্চয়ই তোমাদের কাছে আল্লাহর পক্ষ হতে একটি আলোকবর্তিকা ও একটি স্পষ্ট কিতাব এসেছে।”
[ সূরা আল-মায়িদাহ, আয়াত : ১৫ ]
“এটি হচ্ছে মানুষের জন্য সুস্পষ্ট বর্ণনা এবং মুত্তাকীদের জন্য হেদায়াত ও উপদেশ।”
[ সূরা আলে-ইমরান, আয়াত : ১৩৮ ]
“আর এগুলো আল্লাহর সীমারেখা, জ্ঞানী লোকদের জন্য তা স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন।”
[সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত : ২৩০ ]
“আল্লাহ তোমাদের জন্য স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা পথভ্রষ্ট না হও এবং আল্লাহ প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে সর্বজ্ঞ।”
[ সূরা আন-নিসা, আয়াত : ১৭৬ ]
“অতএব তোমাদের নিকট স্পষ্ট দলীল প্রমাণাদি পৌঁছার পরেও যদি তোমাদের পদস্খলন ঘটে তাহলে জেনে রেখ, আল্লাহ হচ্ছেন পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।”
[ সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত : ২০৯ ]

“নিশ্চয়ই আমি যা অবতীর্ণ করেছি, দলিল-প্রমাণাদি এবং হিদায়াত, মানুষের জন্য কিতাবের মধ্যে তা স্পষ্টভাবে বর্ণনা করার পরেও যারা তা গোপন করে, তাদেরকেই আল্লাহ অভিসম্পাত করেন এবং অভিসম্পাতকারীরাও তাদেরকে অভিসম্পাত করে থাকে।”
[ সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত : ১৫৯ ]

কুরআনকে আল্লাহ স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছেন যেন আমরা তা বুঝতে পারি:

“নিশ্চয় আমি এই কুরআনকে আরবী ভাষায় বানিয়েছি যাতে তোমরা বুঝতে পার।”
[সূরা আয-যুখরুফ, আয়াত : ৩]
“নিশ্চয়ই আমি এই কুরআনকে আরবী ভাষায় অবতীর্ণ করেছি যাতে তোমরা বুঝতে পার। আমি তোমার নিকট উত্তম কাহিনী বর্ণনা করছি, এই কুরআন আমার (আল্লাহর) ওহী হিসেবে তোমার কাছে প্রেরণ করার মাধ্যমে।”
[ সূরা ইউসুফ, আয়াত : ২, ৩ ]
“এভাবেই আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর আয়াতসমূহ স্পষ্টভাবে বর্ণনা করছেন যাতে তোমরা বুঝতে পার।”
[ সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত : ২৪২; সূরা আন-নূর, আয়াত : ৬১ ]
“অবশ্যই আমি তোমাদের জন্য আয়াতসমূহ স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছি যাতে তোমরা বুঝতে পার।”
[ সূরা আলে-ইমরান, আয়াত : ১১৮ ]

“তোমরা জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহ জমিনকে তার মৃত্যুর পর পুনর্জীবিত করেন, অবশ্যই আমি আয়াতসমূহ তোমাদের জন্য স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছি, যাতে তোমরা বুঝতে পার।”
[সূরা আল-হাদীদ, আয়াত : ১৭]
“অবশ্যই আমি তোমাদের প্রতি এক কিতাব অবতীর্ণ করেছি, এর মধ্যে তোমাদের জন্য উপদেশ রয়েছে, তবুও কি তোমরা বুঝবে না?”
[সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত : ১০]

কুরআনের মধ্যে আল্লাহ সকল বিষয়ে বর্ণনা করেছেন

“আলিফ-লাম-রা-, এই কিতাব যার আয়াতসমূহ সুপ্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে, এরপর প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞ সত্তার পক্ষ থেকে সবিস্তারে বর্ণনা করা হয়েছে।”
[ সূরা হুদ, আয়াত : ১ ]
“কিতাবের মধ্যে কোন কিছুই আমি বাদ রাখিনি।”
[ সূরা আল-আনআম, আয়াত : ৩৮ ]
“আর তারা তোমার নিকট যে কোন বিষয়ই নিয়ে আসুক না কেন, আমি এর সঠিক ও সুন্দর ব্যাখ্যা তোমাকে প্রদান করেছি।”
[ সূরা আল-ফুরক্বান, আয়াত : ৩৩ ]
“আর আমি আপনার প্রতি এই কিতাব অবতীর্ণ করেছি প্রত্যেকটি বিষয়ের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা, আত্মসমর্পণকারীদের জন্য হেদায়াত ও রহমত আর সুসংবাদ।”
[ সূরা আন-নাহ্‌ল, আয়াত : ৮৯ ]
“আর অবশ্যই এ কুরআনে মানুষের জন্যে সকল প্রকার দৃষ্টান্ত আমি বর্ণনা করেছি যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে। আরবী ভাষায় কুরআন এতে কোন বক্রতা নেই, যাতে তারা তাকওয়া অবলম্বন করে।”
[ সূরা আয-যুমার, আয়াত : ২৭, ২৮ ]

“আর এভাবেই আমি আরবী ভাষায় কুরআন অবতীর্ণ করেছি এবং তাতে বিশদভাবে সতর্কবাণী বর্ণনা করেছি যাতে তারা তাকওয়া অবলম্বন করে অথবা তা তাদের জন্য উপদেশ।”
[ সূরা ত্ব-হা, আয়াত : ১১৩ ]
“আর অবশ্যই আমি কুরআনে বিশদভাবে ব্যাখ্যা দিয়েছি যেন তারা উপদেশ গ্রহণ করে; কিন্তু তা কেবল তাদের বিমুখতাই বৃদ্ধি করে।”
[ সূরা বনী ইসরাঈল, আয়াত : ৪১ ]
“আর অবশ্যই মানুষের জন্য এ কুরআনে আমি যাবতীয় দৃষ্টান্ত বিশদভাবে বর্ণনা করেছি; তবুও অধিকাংশ মানুষ কেবল তা প্রত্যাখ্যান করেছে।”
[ সূরা বনী ইসরাঈল, আয়াত : ৮৯ ]
“আর অবশ্যই আমি এই কুরআনে মানুষের জন্য যাবতীয় দৃষ্টান্ত বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছি কিন্তু মানুষরা অধিকাংশ বিষয় নিয়েই তর্ক করে।”
[ সূরা আল-কাহাফ, আয়াত : ৫৪ ]
“আর অবশ্যই এ কুরআনের মধ্যে মানুষের জন্য যাবতীয় দৃষ্টান্ত আমি বর্ণনা করেছি আর যদি তাদের নিকট কোন আয়াত (নিদর্শন) নিয়ে আপনি উপস্থিত হন যারা অস্বীকারকারী তারা অবশ্যই বলবে ‘তোমরা তো বাতিলপন্থী (মিথ্যাশ্রয়ী) ছাড়া কিছু নয়’।”
[ সূরা আর-রূম, আয়াত : ৫৮ ]

“এ কোরআন এমন (কোনাে গ্রন্থ) নয় যে, আল্লাহর (ওহী) ব্যতিরেকে (কারাে ইচ্ছামাফিক একে) গড়ে দেয়া যাবে, বরং এটি এর পূর্বে যা অবতীর্ণ হয়েছে, তার সত্যায়নকারী এবং কিতাবের বিস্তারিত ব্যাখ্যা, এতে কোন সন্দেহ নেই, এটি সৃষ্টিকুলের রবের পক্ষ থেকে।”
[ সূরা ইউনুস, আয়াত : ৩৭ ]
“এইভাবেই বোধশক্তিসম্পন্ন লোকদের জন্য আমার আয়াতসমূহ বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছি।”
[ সূরা আর-রূম, আয়াত : ২৮ ]
“এভাবেই চিন্তাশীল লোকদের জন্য আমার আয়াতসমূহ বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছি।”
[ সূরা ইউনুস, আয়াত : ২৪ ]
“এটি এমন এক কিতাব যার আয়াতসমূহ সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। কুরআন আরবী ভাষায় এমন একটি সম্প্রদায়ের জন্যে (নাযিল হয়েছে) যারা জ্ঞানের অধিকারী।”
[ সূরা হামীম-আস-সাজদাহ / ফুসসিলাত, আয়াত : ৩ ]

কুরআন নিয়ে চিন্তা-ভাবনা ও গবেষণা করতে আল্লাহ সহজ করে বর্ণনা করেছেন :

“তবে কি তারা কুরআন নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা (গবেষণা) করে না? নাকি তাদের অন্তরসমূহের উপর তালাবদ্ধ রয়েছে?”
[ সূরা মুহাম্মাদ, আয়াত : ২৪ ]
“তবে কি তারা কুরআন সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা (গবেষণা) করে না? আর যদি তা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও নিকট থেকে হতো, তবে অবশ্যই তারা তাতে অনেক বৈপরীত্য দেখতে পেত।”
[ সূরা আন-নিসা, আয়াত : ৮২ ]
“এটি একটি বরকতময় কিতাব, যা আমি তোমার প্রতি বরকত হিসেবে অবতীর্ণ করেছি, যাতে তারা এর আয়াতসমূহ নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা (গবেষনা) করে আর অবশ্যই বোধশক্তিসম্পন্ন বুদ্ধিমান ব্যক্তিরাই উপদেশ গ্রহণ করবে।”
[ সূরা সোয়াদ, আয়াত : ২৯ ]
“(পূর্ববর্তী রাসূলদেরকে প্রেরণ করেছি) স্পষ্ট প্রমাণাদি ও কিতাবসমূহ দিয়ে এবং আমি তোমার প্রতি অবতীর্ণ করেছি উপদেশ (কুরআন) যেন তুমি মানুষকে স্পষ্টভাবে বর্ণনা করে দিতে পার, যা তাদের নিকট অবতীর্ণ করা হয়েছে আর হয়ত তারা চিন্তা-ভাবনা করবে।”
[ সূরা আন্‌-নাহ্‌ল, আয়াত : ৪৪ ]

“যদি আমি এই কুরআনকে পাহাড়ের ওপর অবতীর্ণ করতাম তাহলে অবশ্যই তুমি তাকে দেখতে আল্লাহর ভয়ে বিনীত ও বিদীর্ণ হয়ে গেছে; এবং এইসব দৃষ্টান্ত আমি বর্ণনা করি মানুষের জন্য যাতে তারা চিন্তা-ভাবনা করে।”
[ সূরা আল-হাশর, আয়াত : ২১ ]
“নিশ্চয় এতে নিদর্শন রয়েছে চিন্তাশীল লোকদের জন্য।”
[ সূরা আর-রাদ, আয়াত : ৩; সূরা আর রূম, আয়াত : ২১; সূরা আয যুমার, আয়াত : ৪২; সূরা আল জাসিয়া, আয়াত : ১৩ সূরা আন্-নাহল, আয়াত : ১১, ৬৯ ]

উপরোক্ত আয়াতগুলোতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা পরিষ্কার ভাষায় বলে দিয়েছেন উপদেশ গ্রহণকারীদের জন্য উপদেশ গ্রহণ করতে কুরআনকে সহজ, সুস্পষ্ট এবং চিন্তা-ভাবনা ও গবেষণার জন্য বিশদভাবে বর্ণনা করেছেন। আমাদের উচিত কুরআন থেকে উপদেশ নিয়ে শিক্ষা গ্রহণ করা।
যদি আমরা তা না করি তাহলে কুরআনের বিরোধিতা করা হবে আর যারা কুরআনের বিরোধিতা করবে, আল্লাহ তাদের বিরোধিতা আরও বাড়িয়ে দেবেন। আল্লাহ যেন আমাদেরকে কুরআনের বিরোধিতা করা থেকে হেফাজত করেন।
আ-মি-ন।

লিখেছেন

জীবনের অসংখ্য পথ ও কল্পিত দর্শনের গোলকধাঁধার মধ্যে চিন্তা ও কর্মের, সরল ও সুস্পষ্ট রাজপথের সন্ধানে...

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Islami Lecture