Abdullahil HadiQ/A

অনলাইনে কুরবানির পশু ক্রয় শরয়ী বিধান এবং কিছু পরামর্শ

অনলাইনে কুরবানির জন্য গরু-ছাগল ইত্যাদি কেনা কতটুকু শরিয়ত সম্মত? এ ক্ষেত্রে সকলের জন্য কিছু পরামর্শ কামনা করছি।
কুরবানির গরু-ছাগল ইত্যাদি বিক্রয়ের যদি পরীক্ষিত ও নির্ভরযোগ্য কোন অ্যাপ বা ওয়েব সাইট থাকে এবং তাদের দেয়া শর্তাবলীতে শরিয়া পরিপন্থী কোন কিছু না থাকে তাহলে সেখান থেকে অনলাইনে কুরবানির জন্য গরু-ছাগল ইত্যাদি ক্রয় করতে কোন আপত্তি নাই ইনশাআল্লাহ।

তবে বর্তমানে অনলাইনে প্রচুর প্রতারণা হয়। যেমন: গরু-বা ছাগল ছবিতে যেমন দেখানো হয় বাস্তবে তা থেকে ভিন্ন হয়, অনেক সময় ভিডিও কলের মাধ্যমে পছন্দ কৃত পশুর পরিবর্তে অন্য পশু সরবরাহ করা হয়। সুতরাং ‘ক্যাশ অন ডেলিভারি’ করা বেশি ভালো। যেন সব কিছু ঠিকঠাকমত দেখে টাকা পে করা যায়। এতে প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।
মোটকথা, ডিজিটাল প্রতারণা থেকে বাঁচার স্বার্থে অত্যন্ত সতর্কতা কাম্য।

ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্ম’দ আবদুল ওয়াহেদ তমাল পরামর্শ দিয়েছেন, শুধু ফেসবুক ভিত্তিক বা অপরিচিত ওয়েবসাইট থেকে গরু কেনার আগে ভালো করে যাচাই-বাছাই করে নেয়া উচিত। বিশেষ করে ক্রেতারা যেন বিশ্বাসযোগ্য ওয়েবসাইট থেকে গরু কেনেন। তিনি আরও কিছু পরাম’র্শ দিয়েছেন। যেমন:

১) কোনো ওয়েবসাইট থেকে কেনার আগে সেটার বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাই করে দেখা উচিত। প্রয়োজনে আগের ক্রেতাদের রিভিউ দেখা যেতে পারে। ই-কমা’র্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য কিনা সেটাও দেখা উচিত।

২) অনলাইন থেকে কেনার সময় পছন্দ কৃত কোরবানির পশুর ভিডিও কলের মাধ্যমে দেখে নিন। যদি অনলাইন সাইট দেখাতে রাজি না হয় তবে বুঝবেন ঝামেলা আছে।
৩) পেমেন্ট করার আগে শর্তগুলো ভালো করে দেখা উচিত। বুঝে নেয়া উচিত যে, ক্রেতারা সুস্থ গরু পাবেন কিনা। কী শর্তে কীভাবে গরু সরবরাহ করা হবে, সেগুলো বিশেষভাবে বুঝে নেয়া উচিত। প্রয়োজনে বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এসব বিষয়ে কথা বলে পরিষ্কার করে নিতে হবে।

৪) ই-ক্যাব ভুক্ত কোনও সদস্য প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অ’ভিযোগ উঠলে সেক্ষেত্রে তাদের অ্যাসোসিয়েশন ব্যবস্থা নিতে পারবে। তবে ই-ক্যাব ভুক্ত নয়, এ রকম প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে তাদের করার কিছু থাকবে না।
৫) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান গরু সরবরাহের ক্ষেত্রে আলাদা ডেলিভারি চার্জ ধরে থাকে। আগেই সে বিষয়ে কথা বলে নেয়া ভালো।
৬) কেনার সময়ের তুলনায় ডেলিভারির মধ্যে কয়েক সপ্তাহের ব্যবধান থাকায় গরুর ওজনের কম বেশি হতে পারে। এসব বিষয়ে বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে পরিষ্কার করে নিতে হবে।

[উৎস: ই-কমা’র্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক এর পরামর্শগুলো osomapto-valobasha ওয়েব সাইট থেকে নেয়া হয়েছে।]

আল্লাহু আলাম।

[elementor-template id=”6775″]

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button