Writing

অদলবদল

মিরা যেদিন এসে বলল, তারা আমার আসল বাবা-মা নন, নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারিনি সেদিন। মিথ্যেই ভেবেছিলাম প্রথম প্রথম। কিন্তু সত্যিটা হল, ভাবতে ভাবতে একসময় ভাবনার অতীত কথাগুলোও হৃদয়ের অতলে গভীর ছাপ ফেলে যায়। আমার বেলায়ও ঠিক তাই হল। ভাবতাম ঠিকই, কিন্তু তার বদৌলতে উত্তর মিলাতে গিয়ে, মাঝদরিয়ার ক্লান্ত নাবিকের মতো ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসতাম কেবল।

ব্রাহ্মণ নামক হিন্দু-প্রথার আদলে বেঁচে থাকা একটি পরিবারে কে বা কারা আমায় ফেলে রেখে গেলেন, সে প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইনি কখনোই। জানতে চাইবোই বা কীভাবে! এসবের কিছুই তো জানতাম না আমি! তাইতো মিরার কথাগুলো কানের কাছে প্রতিধ্বনিত হয়ে ফিরে আসলেও, মস্তিষ্কের সুগভীরে ডালপালা গজাতে পারেনি। স্কুল-পড়ুয়া আমি তখন হিন্দু-রীতিতে অভ্যস্ত। কে আসল বাবা-মা কিংবা কে নকল বাবা-মা, এতকিছু বিশ্বাস করতে চাইনি এক মুহূর্তের জন্যেও। তবুও আমাকে বেশ বুঝাল মিরা; সাথে শোনাল একগাদা মিথ্যেময় সত্য!
অরিজিনাল বাবা-মার ফেলে দিতে চাওয়া কন্যা আমি। আর নকল বাবা-মার অনেক সাধনার ধন!

শুনেছিলাম, আমার সত্যিকারের বাবা-মা নুয়ে পড়েছিলেন একের পর এক কন্যাসন্তানের ভারে। এতোগুলো কন্যাসন্তান হওয়ার পর মা-বাবা নাকি স্বপ্ন দেখতেন একটি পুত্রসন্তানের। কিন্তু তাদের সমস্ত আশায় গুড়েবালি হলো আল্ট্রার রিপোর্ট দেখার পর। আমাকে নাকি ফেলেই দিতেন তারা। হাসপাতালের বিল বাদে বাবা নাকি এক লাখ রুপির চুক্তি করেছিলেন ডাক্তারের সাথে। আমি জন্মের দুদিনের মধ্যে কারও পুত্রসন্তান হলে যেন বদল করে দেন তারা। রহস্যের আদ্যোপান্ত সৃষ্টিকর্তা যিনি; তাঁর রহস্যের খেল বোঝার সাধ্য কার? সেদিনই হাসপাতালে আবির্ভাব ঘটল আমার বর্তমান বাবা-মার। তারা ছিলেন হিন্দু, সন্তানের অভাব পূরণ করতে ছুটেছিলেন হন্যে হয়ে। তান্ত্রিক আর হাজারো হিন্দু যাজকের পিছনে ভুরি ভুরি টাকা উড়ানো শেষে শূন্য হয়েছিলেন তারা। সবশেষে সর্বশ্রান্ত সেই দম্পতি, সন্তান গর্ভে পেয়েছিলেন নাকি কোনো এক ফকিরের দোয়ায়।

ছেলে বা মেয়ে যা-ই হোক না কেন, আমার নকল বাবা-মার দরকার ছিল কেবল একটিমাত্র সন্তানের। অন্যদিকে, আমার বাবা-মা’র অভাব ছিলো একটিমাত্র পুত্রের। এরই অনুপাতে, আমার নকল বাবা-মা’র অগোচরে, হাসপাতালেই হয়ে গেলো সন্তান বদলের দফারফা। অদলবদলের কথাটা জানতেন কেবল ডক্টর, নার্স আর বাবা-মা! আর জানত হাসপাতালের লালরঙা ইটের সাথে লেপ্টেথাকা প্রাণহীন সিমেন্টগুলো। আমার আসল বাবা-মার ইচ্ছেতেই, আমি হয়ে গেলাম নকল বাবা-মার আদরের সন্তান; বিনিময়ে তাদের ছেলে হয়ে গেল আমার বাবা-মার কাঙ্ক্ষিত পুত্রসন্তান! হায়! পুত্রের অভাব পূরণ করতে মায়ের গর্ভে এসেছিলাম আমি; তা না করে অন্য কারও কোলে গিয়ে কন্যার অভাব পূরণ করব, তা কি কেউ জানত?

টাকা থাকলে যে কন্যাসন্তানের বদলে পুত্রসন্তানও পাওয়া যায়, সেটা যেন খুব কম বয়সেই জানা হয়ে গেল আমার। পাশাপাশি বিছানায় দুজন মায়ের সন্তান-বদলের এমন দুর্লভ কাহিনী ক’জনেরই বা অতীত হয়েছে?

অনেক কষ্টের সন্তান হওয়ায়, হিন্দু পরিবারে আদরের কমতি ছিলনা আমার৷ কিন্তু নাটাই যার হাতে, ঘুড়িও কেবল তাঁর কথাতেই নড়ে। তাই আমার এ হিন্দু-জীবন বেশিদিন স্থায়ী হলোনা। একদিন সেই ডাক্তারের সাথে ঝগড়া বাঁধল নার্সসহ স্টাফদের। সন্তান বদলের কাহিনী ফাঁস করে দিলেন নার্সেরা। এরপর এ-কাহিনী দ্রুতবেগে ছড়িয়ে পড়ল এ-ঘাট থেকে ও-ঘাটে। ঘটনাটি কানে গেলো মিরার বাবারও। মুমিন আঙ্কেল; পেশায় তিনি হোমিওপ্যাথি ডাক্তার। ঈমানের প্রশ্নে ছেদ ছিলনা তাঁর।

হন্যে হয়ে তিনি ছুটে গেলেন আমার আসল বাবা- মার নিকট। পারিপার্শ্বিক বিষয়াদি তুলে ধরলেন বিস্তারিতভাবে। আমার বদলে যাকে বদল করা হল, সে ছিল আদতে হিন্দু পরিবারের পুত্র। কিন্তু তার বদলে, আমি যদি মুসলিমের রক্ত হয়েও হিন্দু রীতিনীতিতে অভ্যস্ত হই, এর দায়ভার কে বা কারা নিবে?
ডাক্তার?
নার্স?
নাকি বাবা-মা?
এসব বুঝানো শেষে বাবা-মাকে বেশ চাপাচাপি করেছিলেন তিনি। কিন্তু কে শোনে কার কথা! বাবা-মার কোনো ভ্রুক্ষেপই যেন নেই এ- ব্যাপারে!

বংশপরিচয়ে মুসলিম হয়েও আমি তখন হিন্দুবনে প্রায়। আমার মুসলিম হওয়া বাকি ছিল বলেই হয়তো মুমিন আঙ্কেল আর তাঁর একমাত্র মেয়ে মিরাকে পাঠালেন উপরওয়ালা। বাবা-মা’র কাছে গিয়েও যখন কাজ হলনা, তখন নিজ থেকেই উদ্যোগ নিলেন মুমিন আঙ্কেল। নিজ মেয়েকে ভর্তি করিয়ে দিলেন আমার সাথে একই স্কুলে। উদ্দেশ্য ছিল আমাকে দ্বীনের দাওয়াত দেয়া। আর এরপর? মিরার সাথে পরিচয় শেষে দিনে দিনে বাড়ল সখ্যতা; আমার আদ্যোপান্ত জানা ছিল তার। নিজ বাবার কাছ হতে শুনে শুনে মুখস্ত হয়ে গিয়েছিল মিরার। আমাকে সংশোধনের চেষ্টায় কমতি ছিলনা তার। ধীরে ধীরে আমিও কেমন পরিবর্তিত হয়ে যেতে লাগলাম। উপলব্ধি করতে লাগলাম জীবনের প্রকৃত লক্ষ্য। বাবা-মা’র কথাও খুলে বলেছিল মিরা। জানতে পারলাম আমি হিন্দু পরিবারের মেয়ে নই, আমার বাবা-মা নাকি মুসলিম!

মীরার কথাগুলো একসময় স্বচ্ছ হৃদয়ে অনুধাবন করতে শুরু করেছিলাম। বুঝতে শুরু করেছিলাম আমার নির্বোধ যাত্রার অনিবার্য ধ্বংসাত্মক পরিণতিও। এরপর কোনো একদিন ফোনে কথা হয়ে গেল আমার জন্মদাত্রী মায়ের সাথে। মিরাই ব্যবস্থা করে দিয়েছিল সব। কিন্তু মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য মানুষের নির্মম যুদ্ধ, আমার ঠান্ডা মগজে ঢুকাতে পারিনি, খুব কসরত করেও। তাইতো আমার জন্মদাত্রী মা যখন তার নিজ গর্ভের মেয়েকে অস্বীকার করে বসলেন, তখন আমিও মিথ্যে ভেবেছিলাম সব। কিন্তু সত্যটা বুঝার পর, ইচ্ছে হচ্ছিল হাওয়ায় মিশে যাই। হায়! এ কেমন দাবী!

অন্যের পুত্রের বদলে নিজের রক্তমাংসের কন্যাসন্তানকে স্বীকার করতেও যেন গায়ে বাঁধল মার! পুত্রসন্তান ছাড়া অন্যকিছুতেই যে ভোলার নন তিনি! আল্লাহ যা করেন, ভালোর জন্যেই করেন। উত্তম কিছু দেবার ছলেই করেন; বিশ্বাস টা মর্মে মর্মে উপলব্ধি করে নিয়েছিলাম সেদিন।

আমি তখন পুরোদস্তুর মুসলিম। শরতের শুভ্র আকাশ আর বিন্দু বিন্দু শিশিরফোঁটার মতো জীবনকে চিনতে শিখেছিলাম। ধর্ম আর অধর্মের প্রভেদ টাও বুঝে নিয়েছিলাম ঝিরিঝিরি বৃষ্টির স্বচ্ছ ফোঁটার মতোই। আসল বাবা-মা’কে না পেলেও, খুঁজে পেয়েছিলাম স্রষ্টার দেয়া একচ্ছত্র ও অনুপম ধর্মীয় শিক্ষা। কিন্তু হিন্দু পরিবারের সাথে থেকে, আমার ধর্মীয় শিক্ষার প্রয়োগ ছিলো দুষ্কর একটি কাজ। মিরার সাথে একটা ফন্দি এঁটেছিলাম আমি। ঠিক করেছিলাম হিন্দুবাড়ি ছেড়েছুড়ে ভর্তি হব মাদ্রাসায়; মিরা ও তার চাচার সাথে রওয়ানাও দিয়েছিলাম একদিন।

আমার হিন্দু বাবা-মা এসবের কিছুই জানতেন না। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছা ছিল ভিন্ন, পরীক্ষার মাধ্যমেই বান্দাকে কাছে টেনে নেন তিনি। আমরা রওয়ানা দেই যেদিন, সেদিন কীভাবে যেন জেনে গেলেন আমার হিন্দু বাবা-মা। এরপর সাথে সাথেই মামলা চালিয়ে দিলেন মিরাদের উপর। আর আমাকেও শেষমেষ পড়ে থাকতে হল হিন্দুবাড়িতেই। নিজের জন্য যতোটা না খারাপ লেগেছিল সেদিন, এর চেয়েও বেশি খারাপ লেগেছিল মিরাদের জন্য। এরপর অনেকের দ্বারা অনেক কাকুতি-মিনতির পর, একদিন নরম হল নকল বাবার মন। তুলে নিলেন মামলা। কতো যে ভালো লেগেছিল সেদিন! আল্লাহর কাছে অগণিত শুকরিয়া সে-দিনটির জন্য।

মামলার সমাধা হলেও, সমাধা হলনা আমার ধর্মীয় সমস্যার। উপরন্তু পরীক্ষা যেন দিন দিন বেড়েই চলেছিল। আমাকে ঢের ধৈর্য্য দিয়েছিলেন আল্লাহ, তা না হলে হয়ত কবেই বিপথে চলে যেতাম আমি, ঠিক নেই! মুমিন আঙ্কেল কিন্তু আমার কথা ভুলে যাননি; স্বয়ং আল্লাহই মনে রাখিয়েছিলেন তাকে। আমার জন্য তাঁর মর্মবেদনার অন্ত ছিলনা। শেষমেষ একদিন, একজন বড় আলেমের সাথে দেখা হয়ে গেল তাঁর৷ আমার বিষয়ে আদ্যোপান্ত খুলে বললেন তিনি। সবকিছু শোনার পর, আমার হিন্দু বাবা-মাকে মুসলমান বানানো ছাড়া আর কোনো সহজ রাস্তা খুঁজে পেলেননা আলেম সাহেব। এরজন্য আলেম সাহেব সাহায্যও করেছিলেন মুমিন আঙ্কেলকে।

একদিন আসামের এক ডাক্তারসহ আজাদ আঙ্কেল চলে এলেন আমার হিন্দু বাবার কাছে। তাদেরকে দেখামাত্রই বাবা বেশ রেগে গেলেন। বলে উঠলেন,
“এই মেয়েটাকে আমি অনেক কামনা-বাসনার পর এক ফকিরের দোয়ায় পেয়েছি। এ-কে আমি কোথাও নিতে দেবনা, বলে দিলাম।”
তারাও বলে উঠলেন,

“আমরাও তো মেয়েকে আপনার কাছে রাখব বলেই এসেছি। আপনি কি সত্যি সত্যি মেয়েকে আপনার কাছে রাখতে চান?”
“হ্যাঁ, চাই।”
বাবার মুখে এ-কথা শুনার পর নরম দিলে বুঝাতে থাকলেন আঙ্কেলরা। সাথে বললেন,
“এ মেয়ে মুসলমান। যদি একসাথেই সবসময় থাকতে চান, তাহলে আপনাকেও মুসলমান হতে হবে। নইলে মৃত্যুর পরে আপনি তার সাথে একত্রে থাকতে পারবেন না। বাধ্য হয়ে ছাড়তে হবে তখন। বেহেশতে যাবে সে, আপনি যেতে পারবেন না।”

বাবা কী ভেবে বললেন,
“আপনি আমার স্ত্রীর সাথে কথা বলে দেখুন, তাহলে। সে রাজি হলে, আমিও রাজি।”
“তা নাহয় বুঝলাম। কিন্তু আপনি পুরোপুরি বুঝেছেন তো? মুসলিম হতে আপনি নিজে রাজি আছেন কি?
“জ্বী, রাজি।”

“তাহলে এখনই কালেমা পড়ে নিন। স্ত্রীকে নাহয় পরে বলবেন।”
রহমতের চাদরওয়ালা রহমত ঢেলে দিলেন বাবার উপর। আমার বাবা কালেমা পড়ে নিলেন। সন্ধ্যায় উনাদেরকে বাড়িতে আসতে বলে চলেও এলেন। এরপর যথাসময়ে আঙ্কেলরা আমাদের বাড়িতে এসে হাজির হলেন। মা তো আগে থেকেই ফকিরের ভক্ত।

তারপরেও মায়ের সামনে বাবা এমন ভাব ধরলেন, যেন তিনি কালেমা পড়েননি। মা একটু নরম হন, তো বাবা শক্ত হন৷ যখন এমন হয়, বাবাকে তখন মা আঙ্কেলদেরকে বলতে দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন। অনেকক্ষণ ধরে চলল এই অভিনয়। আঙ্কেলরা হাল ছাড়েননি একদম। তারাও বুঝাতে থাকলেন দুজনকে। দিতে থাকলেন ইসলামের দাওয়াত; শান্তির দাওয়াত। রাত প্রায় বারোটা। সত্যি সত্যি মুসলমান হয়ে গেলেন আমার হিন্দু বাবা-মা! আজও ভুলতে পারিনা সে রাতের কথা। লক্ষ কোটিবার সিজদায় পড়লেও আল্লাহর এ-ঋণ শোধ হবেনা জানি।

শুনেছিলাম, চুরি করে পাওয়া পুত্রসন্তান হলেও, আমার আসল বাবা মার কাছে আদরের কমতি ছিলনা পুত্রের৷ এজন্যেই কিনা জানিনা, তাকে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করার তিলমাত্র প্রয়োজন অনুভব করতে পারেননি তারা। মুসলিম হয়েও কাজেকর্মে ইসলামিক রীতি প্রয়োগের স্পৃহা, চিন্তার সুগভীর বিশালতায় ধরা দেয়নি তাদের! এই সুযোগে ছেলেটিও যেন টালমাটাল হয়ে গেল; গা ভাসিয়ে দিল দিগ্বিদিক। কিন্তু নিজের সন্তানের অধঃপতনের কাহিনী নিরব চাহনীর মতো স্থির চিত্তে মেনে নিতে পারেন কজন?

মুসলিম হওয়ার পর, আমার নকল বাবা-মাও এসব মেনে নিতে পারেননি। যে পুত্রকে পাওয়ার জন্য তাদের কষ্টের আদি হতে অন্ত খুঁজে পাওয়া ছিলো ভার, সে পুত্রই যেন মুসলিম হয়েও অপক্ক আবেগে বরণ করে নিয়েছে অন্ধকারাচ্ছন্ন জাহিলিয়্যাতকে! তাইতো নিজ ঔরসজাত রক্তকে ইসলামের দাওয়াত দেয়া আজও থামাতে পারেননি আমার নকল বাবা।

আর এদিকে? সত্যিকারের বাবা-মার আসল সন্তান হয়েও আমি রয়ে গেলাম নকল বাবা মার পালিত সন্তান! বাবা-মার খোঁজ পেলে যা শুনতাম, তা যেন হৃদয়ের জ্বলন্ত ক্ষতই বাড়াত কেবল! দূরে থেকেই দোয়া করেছি তাদের জন্য। মুমিন আঙ্কেলও খুব বুঝিয়েছেন তাদের।

কিন্তু আল্লাহ যাকে হিদায়াত দেন, হিদায়াত শুধু তার ভাগ্যেই জোটে। অন্য কারোর ভাগ্যে না। মুসলিম হয়েও মুসলিম সংস্কৃতি গ্রহণের তীব্র অনিচ্ছাটাই কাল হয়ে দাঁড়াল তাদের। সবকিছুর অদলবদলে পুরোদস্তুর মুসলিম হলাম আমি, সাথে মুসলিম হলেন আমার হিন্দু বাবা-মা’ও।

আলহামদুলিল্লাহ।

[সত্য ঘটনা অবলম্বনে। কিছুটা এদিক-ওদিক হলেও মূল ঘটনা অবিকৃত]

[elementor-template id=”6893″]

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button